আজ সোমবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এমপি গাজীকে সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীককে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এমপি গাজী সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সম্মানী চেক এবং মোবাইল ট্যাবসহ বিভিন্ন উপহার সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে সম্মাননা পদকপ্রাপ্তদের মাঝে বিতরণ করেন। ‘শান্তিকালীন’ পদক ২০১৬ বিজয়ী ১২ জন এবং ‘অসামান্য সেবা’ পদক বিজয়ী ১৪ জনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সদস্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদক বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার আগামী জানুয়ারি মাস থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেককে ভাতা দেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (তৎকালীন ইপিআর) সদস্য, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের ভাতা দেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা সে সময় বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বলে সে সময়ে তাঁদের ভাতা দেওয়া হয়নি। তাঁরা সবাই প্রায় এখন অবসরে এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও সমস্যায় রয়েছেন…আমরা এঁদের সবাইকেই আগামী জানুয়ারি থেকে ভাতা দেব ইনশা আল্লাহ।’

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাঁর সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁদের আমরা মর্যাদা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজীর পৈতৃক বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। তাঁর বাবার নাম গোলাম কিবরিয়া গাজী এবং মায়ের নাম সামসুননেছা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম হাসিনা গাজী। তাঁদের দুই ছেলে। ১৯৭১ সালে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন গোলাম দস্তগীর গাজী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতে যান। ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি অপারেশনে অংশ নেন। অপারেশনে তিনি অগ্রভাগে থাকতেন। গ্যানিজ ও দাউদ পেট্রল পাম্প উল্লেখযোগ্য অপারেশন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ