অ.শুভ
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ত্রাণ সহযোগিতাসহ বিকাশের মাধ্যমে নগদ টাকা প্রদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান। তিনি নাসিক কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য দফায় দফায় বিভিন্ন ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিকাশে টাকা পেয়েছেন অনেকেই। অনেকে টাকা পাওয়ার পর সেই টাকা ভুলে চলে এসেছে বলে ফেরত নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। একই সাথে জনপ্রতিনিধিদের অনুসারী ও সহযোগিদের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিকাশে টাকা দেয়ার ঘটনাও বলেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, করোনা সংকট মোকাবেলায় রমজান মাসে বিভিন্ন এলাকার ধাপে ধাপে ত্রাণ সহযোগিতা করছেন। তিনি ঘোষিত সহযোগিতার ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা তিন ধাপেই দিয়েছেন। এমপি সেলিম ওসমানের ঘোষণা অনুযায়ী ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ করা হয়েছে। এর মধ্যে এলাকা গুলোকে কাউন্সিলদের মাধ্যমে তালিকা করে সেই তালিকা অনুযায়ী বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেয়া হচ্ছে। এম পি সেলিম ওসমানের দেয়া টাকার জন্য অনেকেই তালিকায় নাম দিয়ে ও টাকা পাননি এমন ঘটনাও আছে।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন, ৩ দফায় স্থানীয় একজন লোক জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়েছেন। ওই ব্যক্তি বলেছেন ৯ শ’ টাকা বিকাশে দেয়া হবে এ জন্য আইডি কার্ড নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে কয়েক জনের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আসে। যে ব্যক্তি আইডি কার্ড নিয়েছেন সে এসে তিন জনের টাকা ফেরত নিয়ে যান। তিনি বলেন, ভুলে টাকা চলে এসেছে। কিন্তু মেসেজে লেখা ছিলো এম পি সেলিম ওসমানের উপহার।
র্যালী বাগানের বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, মোবাইলে মেসেজ আসে ৯ টাকার। তবে যিনি আইডি কার্ড জমা নিয়েছেন তিনি এসে বলেন ভুলে চলে এসেছে। পরে তিনি আরেকটি নাম্বারে ৯ শ টাকা নিয়ে মেসেজ টি মোবাইল থেকে কেটে দেন।
টানবাজার মসজিদ এলাকার রিকশা চালকের স্ত্রীর সাইরুন বেগম বলেন, রোজার আগে আইডি কার্ডের ফটো কপি নিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকা আসে নাই। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, হকারি করেন তিনি। আইডি কার্ড জমা দিয়েছেন কিন্তু টাকা পাননি। তিনি বলেন, যারা ওনাদের কাছের লোক মারফত আসে তাদের টাকা দেয়া হয়েয়ে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, এমপি সাহেবের টাকা দেয়া হয়েছে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে। যারা কাউন্সিলরের লোকমারফত জমা দিয়েছেন তাদের টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধিরা আমার কাছে তালিকা প্রেরণ করতে বিলম্ব করেছেন আবার অনেকের প্রেরিত তালিকায় অনেক ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরও বলে ছিলেন, সঠিক তালিকা করার জন্য। যাতে করে করোনার মহামারিতে সঠিক ব্যক্তি সগযোগিতা পান।
উল্লেখ্য, সাংসদ সেলিম ওসমান তৃতীয় ধাপে ৫ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করেন বিকাশ একাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া মাধ্যমে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০ জন করে ২ জনের মাধ্যমে ১ হাজার জন এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ১ হাজার জন করে মোট ৪টি ইউনিয়ন এলাকায় ৪ হাজার জনকে প্রেরণ করা হয়েছে।