মু.বিল্লালঃ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন করার জন্য অনেকেই এসেছেন আবার চলেও গেছেন। অনেকে এলাকায় টিম করে রাখা হয়ে তবে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে খোঁজ থাকেন তাদের। তবে করোনার দূযোগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কবরস্থানে রয়েছে নারায়ণহগঞ্জের করোনা যোদ্ধা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদ।
মঙ্গলবার শহরের আমলাপাড়া নিবাসী স্বামী স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেছেন। ওই স্বামী স্ত্রীর খোরশেদসহ তার টিমের সদস্যরা দাফন কাফন সম্পন্ন করেনছেন। ফজরের নামাজের পর থেকে কবর খনন, মৃতদেহের গোসল, কাফন ও জানাযা শেষে দাফন সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত কবরস্থানে ছিলেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
জানা গেছে, খোরশেদ টিমের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে গিয়ে ৫১ রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট ও ৭৫ জনকে প্লাজমা সেবা দিয়েছিন টিম খোরশেদ। পাশাপাশি এ পর্যন্ত কোভিড ১৯ আক্রান্ত ১১০ জনকে দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেছেন।
করোনা ভাইরাসের ক্রান্তিকালে আক্রান্ত ও মৃতদের দাফন-সৎকারে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকায় এই করোনা যোদ্ধাকে নিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা দুর্যোগে তার কৃতত্ব তুলে নানা মন্তব্য করেছেন দেশ বরণ্য ব্যক্তিরা।
বুধবার মুঠো ফোনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন আল্লাহর কাছে তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি। তিনি বলেন, আমরা মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের খোঁজ নিচ্ছে। যেসব পরিবার গুলো তাদের সন্তানদের পড়াশোনা চালাতে পারছে আমরা তাদের সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে খোরশেদ জানান, আমরা কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের রোগিদের অক্সিজেন সাপোর্ট এবং প্লাজমা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন যাওয়ার সময় তারা আমাদের জন্য দোয়া করে যাচ্ছেন। তাদের এই ভালোবাসা জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সেবা দিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, খোরশেদের সাথে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তার টিমের সদস্য, এনায়েত নগর ইউনিয়নের (ইউপি) মেম্বার রোজিনা আক্তার, স্থানীয় কাকলী বেগম, হাফেজ শিব্বির আহমেদ, নামজমুল কবির নাহিদ, আনোয়ার হোসেন, রাফি, রিফাত, লিটন ও নাঈম।