সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক বলেন, একুশ না পেলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। ৫২ তে আমরা ভাষার যে বীজ বপন করেছিলাম সেটা বড় হয়ে ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর উদ্যোগে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার অডিটরিয়ামে “ভাষা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ ও আমাদের কর্তব্য” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর সভাপতি ও বাংলাদেশ এম্বাসেডর, জাতি সংঘ যুব পরিষদ ইব্রাহিম আদহাম খাঁন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান “আনন্দধাম” ও প্রধান উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব তানভীর হায়দার খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আবু তৌহিদ ভূইয়া প্রিন্স চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা পুর্ণবাসন সোসাইটি ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, হাসিনা রহমান শিমু প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধটা অনিবার্জ হয়ে পড়ে ছিলো কারন ভাষা আন্দোলনের পর থেকে তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্থান পূর্ব পাকিস্থানকে (বাংলাদেশ) সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কোন ভাবেই মর্যাদা দেয়নি। সে সময় বাংলাদেশ থেকে ৪টি পন্য পাট, চা, চামড়া, তুলা রপ্তানি করা হতো। আর সেই অর্থ পশ্চিম পাকিস্থানে জমা হতো। সেই অর্থের ৮০ শতাংশ তারা খরচ করতো আর আমাদের জন্য ২০ শতাংশ রাখা হতো।
পাকিস্থানীদের একটা ধারণা ছিলো পূর্ব পাকিস্থানে যারা বসবাস করতো তারা ছিলো নিচু জাতি। এসব বিষয় গুলো যখন প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছিলো তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি তুললেন। আর সেই ৬ দফা দাবির কারনে তাকে গ্রেফতার করা হলো। পরে সর্বদলীয় ছাত্র সমাজের নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়। সেই সংগঠনের আন্দোলনের তোপের মুখে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্থানীরা মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক কাহালিল জিবরান এর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর সহ-সভাপতি রাজীব ভুইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাহালিল ইরাবান দীপ্ত, আজিজুল আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক- সাকিব প্রধান সৌরভ সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।