সংবাদচর্চা ডেস্ক: আগামী একাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে বলে মনে করছে স্থানীয় লোকজন ও রাজনীতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে রূপগঞ্জে একাধিক নেতা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য উঠে পরে লাগলেও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে আওয়ামী প্রার্থীর বিপক্ষে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। দলের জন্য দুর্দিনেও এই নেতার অক্লান্ত পরিশ্রম থাকায় বিএনপি সমর্থিত একটি বিশাল জনগোষ্ঠির শেষ আশা ভরসা হয়ে দাড়িঁয়েছেন তিনি। ধারণা করা হয় বিএনপির এই নেতা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে জনসমর্থন ও নেতাকর্মীদের দিক থেকে ভোট যুদ্বে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।
অপরদিকে এই সংসদীয় আসনটিতে গত ৯ বছর ধরে শক্ত হাতে নৌকার পাল ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্বের অপরাজিত এই সংসদ সদস্যেরও রয়েছে ব্যপক জনপ্রিয়তা ও লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই দিনের পরদিন উপজেলার জনগণের বিভিন্ন সমস্যায়, সুখ-দুঃখে পাশে থেকে নিজেকে আস্থাভাজন তৈরী করে নিয়েছেন । সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবার যেকোন সমস্যা সমাধানে তার সক্রিয় ভূমিকা পালনে দিনকে দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে উপজেলার সর্বোত্ত উন্নয়নমূলক কাজ করায় তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনেকেই। ইতোমধ্যে এই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ওপর মহল থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও জানা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হয় এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এই জনপ্রিয় দুই নেতা যদি দলীয়ভাবে মনোয়ন পায়। তবে তাদের দুই জনেরই ব্যপক জনপ্রিয়তা থাকায় নির্বাচনী মাঠে লড়াই হবে সমানে সমানে। কে জিতবে বা হারবে তা ভবিষ্যৎ বানী করা না গেলেও এদের দুই জনের মধ্যেই কেউ একজন হতে পারেন রূপগঞ্জের পরবর্তী সংসদ সদস্য। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকদের মতে গোলাম দস্তগীর গাজী এগিয়ে রয়েছেন।