আজ বুধবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাঃগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে,দৈনিক সংবাদচর্চা অনলাইন মাসিক জনমত জরিপ প্রকাশিত

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ  আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন। নড়ে চড়ে বসেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির একাদিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে। উপজেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়া দল বিএনপি আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে ও বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান এবং প্রচার- প্রচারণা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ আসনে বিএনপি থেকে আপনি কাকে সমর্থন করেন,’ জনমত জরিপ’ গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে এ জরিপ চলে ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত এ জরিপ কাউন্ট করা হয়। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য  মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু।

দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার জরিপে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ৪৫% সমর্থনে ভোট পান ১০১২। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির ৩৫% সমর্থনে ভোট পান ৭৮৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য  মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু ১৯% সমর্থনে ভোট পান ৪২৭। দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সেপ্টেম্বর মাসের অনলাইন জরিপে এগিয়ে আছেন তৈমূর আলম খন্দকার। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির। তৃতীয় অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। রাজধানীর অদুরে হওয়ায় এ আসন নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা সারা দেশে। রূপগঞ্জের আসনটিতে সরকার দলীয় প্রার্থী একজন শিল্পপতি। এ আসনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে সাংগঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন নেতার প্রয়োজন। তারা আরো বলেন, এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা ও জনমজলুম খ্যাত নেতা। দলের স্বার্থে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেমে আসেন। বিগত দিনে সরকার দলীয় মামলা হামলার শিকার কয়েক হাজার নেতা-কর্মীদের পাশে রয়েছেন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তাদের পক্ষে আইনী লড়াই করেছেন। এসব কর্মকান্ডে বেশ আলোড়ন সৃষ্টিকারী নেতা হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তায় আছেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরশনে ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের বিরোদ্ধে আন্দোলনের কারণে সর্বসাধারণের আস্থাবাজ নেতা হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

অপরদিকে, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মরিুজ্জামান মনির সাংগঠনিক গ্রুপিং ও মতোবিরোধের কারণে অনেকটাই পিছিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু বয়সে তরুণ একজন রাজনীতিবিদ। জাতীয়তাবাদী দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে আত্মীয়করণ রাজনীতি করছেন। তিনি ১২ ভূইয়া পরিবারের ১ পরিবার বলে তার পরিচিতি থাকলেও রাজনীতির প্রসার করতে পারেনী।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচিত এ তিন নেতা যোগাযোগ রক্ষা ও সর্বসাধারণের কল্যাণে কাজ করলে এ জরিপ পরিবর্তন আশতে পারে বলে মনে করছেন রূপগঞ্জবাসী।