সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবার লক্ষ্য উপজেলা নির্বাচন। আগামী এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষমতাসীন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। তবে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের তেমন আমেজ না থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় কৌশলে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। সদ্য অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর নজর পড়েছে উপজেলা নির্বাচনের দিকে। নারায়ণগঞ্জে ৫ টি উপজেলার মধ্যে গত নির্বাচনে ৩ টিতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার। অন্যদিকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন মত প্রকাশ করেনি। তবে তারা গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বর্তমার সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন করবে না বিএনপি। তথা বিএনপি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আসছে না। সেক্ষেত্রে জেলার ৫ টি উপজেলার মধ্যে ৩ টি উপজেলায় বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যানরা কী করবেন? জেলার সদর ও বন্দর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস ও আতাউর রহমান মুকুল বলছেন ভিন্ন কথা। বিএনপি নির্বাচনে কে আসলো কে আসলো না সে বিষয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা নির্বাচন করবে। জানা যায়, দলের সাথে বিভিন্ন সময়ে বেঈমানি করলেও সোনারগাঁ, সদর ও বন্দর উপজেলায় বিএনপির রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। আর ঠিক সেই কৌশলটাই অবলম্বন করতে চাইছেন বর্তমান বিএনপির দুই চেয়ারম্যান। তাছাড়া রূপগঞ্জ এবং আড়াইহাজার উপজেলা থেকেও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকবে।
উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস বলেন, সবাই জানে বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচনে বিষয়ে এখন আমার কোন মন্তব্যে নেই। সময়ই বলে দিবে আমি কোন দলের নাকি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে আসবো। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়া না হয় কিংবা আমাকে বাদ দেয়া হয় তাহলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবো।
বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। তবে এখনোও পর্যন্ত গণসংযোগ করিনি। কিংবা নির্বাচনী কোন প্রচার প্রচারণা করিনি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে কে বা কাকে মনোনয়ন দেয়া হলো তা আমার দেখার বিষয় না।
সাবেক মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমার কাছ আমার দল সবচেয়ে বড়। যেহেতু এখন জেলার দায়িত্বে আছি সেহেতু আমার কাধেঁ এখন অনেক দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে দল যখন যা নির্দেশ দিবে আমি তাই করবো। দলের উপরে আমার কোন কথা নেই। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে আসলে এবং মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। তথা নির্বাচনে না আসলে করবো না।
সব মিলিয়ে বিএনপি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে না আসলেও এ দলের নেতাকর্মীরা নিজ দায়িত্বে নির্বাচনে আসবে। তথা নানান কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনে থাকবে বিএনপি। এমনটাই জানা যায়, দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে।