আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উত্তপ্ত আদালতপাড়া

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘোষিত ইসি কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচী অব্যহত রেখেছে আইনজীবীরা। পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবারেও আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। প্রায় একই দাবীতে আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করছেন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের একাংশ। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে আদালতে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এজিএম শেষে ঘোষিত কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় সোমবারেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন আইনজীবীরা। শুধুমাত্র বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের একাংশই যে এই ইসি কমিটির বিরোধী তা নয়। এর যুক্ত হয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম ও এডভোকেট আওলাদ হোসেনের মত প্রভাবশালী আইনজীবীরা। তাদের কন্ঠেও ছিল ইসি কমিটির উপর একই ধরনের ক্ষোভ। ফলে বারের অধিকাংশ আইনজীবী বর্তমান ইসি কমিটির বিরুদ্ধে মৌন অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
ঘোষিত ইসি কমিটি বিরোধী আইনজীবীদের অভিযোগ, এই কমিটির বারের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের বসিয়েছেন। ফলে খুব সহজেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলুষিত করতে পারবে গায়ের জোড় খাটিয়ে। সর্বশেষ বারের নির্বাচনেও ভোটগ্রহন ও গননাকালে ছিল ঠিক এমনটাই অভিযোগ। সেসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি জুনিয়র আইনজীবীদের মারধর করা হয়েছে।
সেই বছর বিএনপি একা প্রতিবাদ করলেও বাকিরা নীরব ভূমিকা পালন করেন। তার একবছর পর এবার বারের সিংহভাগ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় আইনজীবীরাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গায়ের জোড়ে এবারেও প্রভাব বিস্তার করতে দিবেননা বলে অঙ্গীকার করছেন তারা। যার অন্যতম প্রমাণ আইনজীবীদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনে আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ইসি কমিটির নাম ঘোষণা করলে উত্তেজিত আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ইসি কমিটিতে এডভোকেট আখতার হোসেন ও মেরিনা আক্তারের নাম ঘোষণা দেয়ার পরপরেই উত্তেজিত আইনজীবীরা মানি না, দলকানা ইসি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঞ্চের টেবিল চেয়ার ও মাইক স্ট্যান্ড ফেলে দেয় এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একাংশ আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
জানা যায়, ২০১৯-২০ নির্বাচনে ইসি কমিটির দায়িত্ব পালনে ছিলেন আখতার হোসেন ও মেরিনা আক্তার। সেসময় এজিএমে প্রতিবাদ জানায় বিএনপির আইনজীবীরা। পরবর্তীতে নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির জন্য আইনজীবীরা এই ইসি কমিটিকেই দায়ী করেন। তাদের দাবী ইসি কমিটির উদাসীনতা নির্বাচনে কারচুপি করতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা।