ঈদের দিনেও মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান একথা জানান।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদের সময় সমাগত। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঈদের দিনও আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম চলবে।
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে নোমান বলেন, যারা কোরবানি দেবেন- তারা ধর্মীয় নিয়মে আপনাদের ভাগের অংশ বানভাসিদের মধ্যে বিতরণ করুন। তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
বন্যার্তদের জন্য শিগগিরই পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বানভাসিদের হাঁস-মুরগি দেব। বিনাশ্রমে কিছু কিছু এলাকায় ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাট চিহ্নিত করে তা সংস্কার করব, ঘর নির্মাণেও সহযোগিতা করব। কৃষকদের জন্য ধানের বীজও সরবারহ করব।
সরকারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই অভিযোগ করে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এ বানভাসি মানুষের জন্য সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা আছে-এমনটা মনে হয় না। কারণ কোনো জায়গায় সরকারকে ত্রাণ বিতরণে দেখি নাই। উপরন্তু সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন অনেক চাঁদা তুলেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোটি কোটি টাকা প্রত্যেক দিন তারা নিচ্ছে। অথচ তার যে ব্যবহার বানভাসিদের জন্য-এটা দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নির্দেশনায় সারা দেশে নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে থাকবে বলে জানান নোমান।
পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটিতে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজনের দেয়া নগদ একলাখ টাকা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর হাতে তুলে দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নেওয়াজ হালিমা আরলী প্রমুখ।