সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
মুড়াপাড়া কলেজের ছাত্র হোসেন মোহাম্মদ রুবেল হত্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ভাবে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ আলমাছকে জড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনতা।
জানা গেছে, গত ২৭ মে আইপিএলের জুয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র হোসেন আহাম্মেদ রুবেলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মুড়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ আলমাছকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করে নিহতের বড় ভাই মোমেন মিয়া হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রবিবার ৩ জুন দুপুরে মিথ্যা মামলা থেকে তোফায়েল আহম্মেদ আলমাছের নাম প্রত্যাহারের দাবীতে শত শত জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুড়াপাড়া মঠের ঘাটে জড়ো হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতা প্রেসক্লাবের সামেন মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রুবেল হত্যা মামলায় আলমাছ চেয়ারম্যানকে ষড়যন্ত্রমূলভাবে জাড়ানো হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে আলমাছ চেয়ারম্যানের নাম প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের বিচার করা হোক। এ হত্যা কান্ডের সাথে আলমাছ জড়িত নয়। মামলা থেকে আলমাছ চেয়ারম্যানের নাম প্রত্যাহার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নামতে বাধ্য হব।
এদিকে, মানবন্ধনে আসা জনতাদের প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে বলে মানববন্ধনে আসা লোকজন অভিযোগ করেছেন। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
তোফায়েল আহম্মেদ আলমাছের স্ত্রী মমতাজ বানু রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, রুবেল খুন হয়েছে আইপিএলের জুয়ার ঘটনায়। এর সঙ্গে আমার স্বামী আলমাছ কোনভাবে জড়িত নয়। আমার স্বামীকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলভাবে জড়ানো হয়েছে। আমিও চাই রুবেল হত্যার বিচার হউক। তবে সেটা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেনো হয়।যদি আমার স্বামী জড়িত থাকে তাহলে তারও বিচার হউক।
এসময় তিনি বলেন, মানববন্ধনে আসার সময় আমাদের লোকজনকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আইয়ুব উল্লা, ইউপি সদস্য নবী হোসেন, ইউপি সদস্য সিরাজ হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য লাভলী মানিক, রেহেনা, জীবন নেসা, বিউটি আক্তার প্রমুখ।