আজ শুক্রবার, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগ ঘেষা কাউন্সিলরদের পাচ্ছে না ওয়ার্ডবাসী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থীত জনপ্রতিনিধিরা। অনেকে পালিয়েছেন। আবার কেউ কেউ আড়ালে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কাজ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেও দেখা দিয়েছে এমনটা। সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসছেন না ওইসব কাউন্সিলর। করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর কার্যালয়ে আসছেন না। তবে ওয়ার্ড সচিবরা জানিয়েছেন, মেয়র ও কাউন্সিলরেরা অনুপস্থিত থাকলেও সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। কাউন্সিলরের পরিবর্তে তারাই সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ২৭টি ওয়ার্ড। আর এই ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। বর্তমানে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এলাকায় থাকলেও প্রায় ৬-৭জন কাউন্সিলরই আত্মগোপনে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের যেসব কাউন্সিল বর্তমানে আড়ালে কিনবা আত্মগোপনে রয়েছেন, তারা হলেন- শাহজালাল বাদল (৩নং ওয়ার্ড), মতিউর রহমান মতি (৬নং ওয়ার্ড), রুহুল আমিন (৮নং ওয়ার্ড), ইফতেখার আলম খোকন (১০নং ওয়ার্ড), আব্দুল করিম বাবু (১৭নং ওয়ার্ড), কামরুল হাসান মুন্না (১৮নং ওয়ার্ড) উল্লেখযোগ্য। এদিকে, অনেকে আবার আড়ালে চলাচল করলেও গণমাধ্যমের কাছে তা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক।
এদিকে, এইসকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাজ করছেন তাদের ওয়ার্ড সচিবরা। ৮নং ওয়ার্ড সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর সাহেব প্রতিদিন কার্যালয়ে আসেন না। তবে, ওয়ার্ড বাসিন্দারা তাদের নাগরিক সেবা পাচ্ছে। ১০নং ওয়ার্ড সচিব মোঃ আমির হোসেন বলেন, কাউন্সিলর সাহেব মাঝে মাঝে আসেন। এছাড়া ওয়ার্ডবাসীর যাবতীয় সেবা তার অনুপস্থিতিতে আমিই দিচ্ছি। সেবা প্রদানে আমাদের কার্যালয় সব সময় খোলা।
১৭নং ওয়ার্ড সচিব মোঃ রিয়াদ হোসেন বলেন, কাউন্সিলর সাহেব নিয়মিত কার্যালয়ে না আসলেও প্রয়োজিনিয় কাগজপত্র তিনি সই করে দেন। আগের তুলনায় এখন মানুষ কম আসছে। তবে, আমাদের সেবা প্রদানে কোন ঘাটতি নেই। তবে এই বিষয়ে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
১৮নং ওয়ার্ড সচিব রিমা আক্তার বলেন, কাউন্সিলর সাহেব মাঝে মাঝে আসেন, গুরুত্বপূর্ণ যে সব স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়, সেগুলো করে যান। এছাড়া নাগরিক সেবা প্রদানে কোন রকমের সমস্যা হচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এদিকে, কাউন্সিলরদের কাছে না পেয়ে অনেক ওয়ার্ডবাসীন্দা যাচ্ছেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের কাছে। এতে, করে তাদের উপর চাপ আগে থেকে বেড়েছে বলে জানায় একাধীক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।