নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় নির্বাচনের আমেজ এখন আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভার জনগণের মাঝে। সরকারী দলের উৎসাহ উদ্দিপনা অধিক হলেও বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। বিএনপি সমর্থকদের অভিযোগ, সরকারি সুবিধা নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নির্বাচনি আচরবিধি লঙ্গন করে চলছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ সর্মথিতদের দাবি, বিএনপি প্রার্থী আবোল তাবোল বকছেন। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা প্রবাদের মত বিএনপির প্রার্থী আচরন করছেন বলে সরকারি দল সমর্থিতদের দাবি। আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার বলছেন, তারা তাদের কাজ ঠিকঠাক মত করছেন।
গোপালদী পৌরসভা নির্বাচনে ২ জন মেয়র প্রার্থী ও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২৯জন এবং সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১২ জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৫ জুলাই পৌরসভার ২৮ হাজার ৩২৮ জন ভোটার নির্ধারন করবে তাদের পৌর পিতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
বিএনপি সমর্থকদের অভিযোগ, বিশাল শো-ডাউন করে প্রচারনা করছেন নৌকার প্রার্থী হালিম শিকদার। প্রতিদিনই আচরন বিধি লঙ্গন করছেন তিনি। বিএনপির কর্মীদের মারধর করেছে তার কর্মীরা।
অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থীর কোন প্রচারনাই দেখা মিলেনি। আতংকিত হয়ে প্রচারনাই করতে পারছেনা ধানেরশীষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
বিএনপি সমর্থিতরা অভিযোগ করেন, সরকারি দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জয় প্রায় নিশ্চিত। চলমান নির্বাচনের চিত্র দেখে তারা প্রস্তুুতি নিচ্ছে। ভোটার কেন্দ্রে আসুক বা না আসুক জয় ছিনিয়ে আনতেই হবে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মেয়র প্রার্থীর সাথে মিটিং করছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে গোপালদী পৌরসভার বর্তমান মেয়র হালিম শিকদার এবারো নির্বাচন করছেন। হালিম শিকদার স্থনীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর আস্থাভাজন ও সম্পদশালী। মেয়র হালিম শিকদারের সাথে সাক্ষাতের জন্য তার কার্যালয়ে গেলে দেখা যায় ৩, ৪ও ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা দাম্ভিক্য করে বলছেন ভাই আমরা দলের সকল নেতা-কর্মীরা ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করবো। বাবু ভাই আর আপনে আমাগো দেখবেন।
বিএনপির প্রার্থী মোঃ মুশফিকুর রহমান ভিত হয়ে কোন প্রচারনাই করতে পারছেনা। তার কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেছে সরকার দলীয় লোকজন। রিটার্নিং অফিসারের কাছে বলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা এমনটাই দাবী তার কর্মীদের। এবিষয়ে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।
আচরন বিধি লঙ্গন ও বিএনপির কর্মীদের মারধরের বিষয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হালিম শিকদার বলেন আমি কোন আচরন বিধি লঙ্গন করি নাই। অতি উৎসাহী কিছু কর্মী রঙ্গিন পোস্টার করেছে। বিএনপি কর্মীদের মারধর কেউ করে নাই। নাচতে না জানলে উঠান বাকা। এগুলি রাজনৈতিক অপপ্রচার।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, আচরন বিধি লঙ্গনের তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই আমি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হালিম শিকদারকে শোকজ করেছি। তিনি তার জবাবও দিয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী কেন আতংকিত তা আমার বোধগম্য নয়। আমাদের টিম প্রতিদিনই এলাকায় যাচ্ছি। ভয়-ভীতির কোন আলামত আমাদের চোখে পরেনি। বিএনপি প্রার্থীর কর্মীদের মারধরের বিষয়টি আমি জেনেছি। এটাতো ফৌজদারি অপরাধ। থানা-পুলিশ এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।