সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নাটকীয়তার পর আড়াইহাজারে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় আহত পুলিশের এটিএসআই মো. মামুন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তবে এর আগে সন্ধ্যায় এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে আটক ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহা ও কর্মী দিদারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মামলার বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহা ও কর্মী দিদার ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসার সামনে থেকে গোপলদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র দিদারকে ইভটিজিং ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অভিযোগে আটক করে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে দিদারকে ছাড়িয়ে নিতে আসেন সুজয় দাস। এ সময় পুলিশের এটিএসআই মামুনের সাথে তার তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা সুজয় পুলিশের ওই সদস্যকে মারধর করেন। বাধা দিলে কনস্টেবল ইমরান ও বাশার এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আটক করে।
এ ঘটনায় আহত পুলিশের এটিএসআই মামুন (বেজ-৪২১), কনস্টেবল ইমরান (বেজ-১২২৯) ও বাশার (৮৪৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত কেন্দ্রে পৌছে আটক দুইজনকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানার সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় ওসির প্রত্যাহার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
অবস্থা বেগতিক দেখে কোন মামলা কিংবা অভিযোগ ছাড়াই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে আটককৃত দুই ব্যক্তিকে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝির বিষয় ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে এর আগে গত ২৯ মার্চ আড়াইহাজার থানায় ঢুকে সরাসরি পুলিশ সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায়ও আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।