আজ সোমবার, ১৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে ধানখেতে চিটা, কৃষকের মাথায় হাত

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

 আড়াইহাজারে অনেক স্থানে খেতে ধান চিটা হয়ে গেছে। সবেমাত্র শিষ বের হয়েছে। কিন্তু খেত সাদা ও হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এই দৃশ্য আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মিন্দি ইউনিয়নের ইদবাদি এলাকার কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাঁরা বলছেন, সব ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে।

কালবৈশাখী দুই দফা আঘাত হানার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বড় অংশই ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের ধান। ফলন ভালো হয় নাই কালবৈশাখী জরের কারোনে।

দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সাংবাদিক বিপ্লব হাসান আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মিন্দি ইউনিয়নের ইদবাদি এলাকার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইদবাদি এলাকার বর্মপুত্র নদি ঘেঁষে ব্রি-২৮ ধানের খেত। খেতের পাশে দিয়ে হাঁটছিলেন কৃষক আব্দুল ছুবান ভূঁইয়া (৭০)। ধান খেতের পরিষ্থিতি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে দুই বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান লাগিয়েছি। কালবৈশাখীর কারণে সব ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন কী করমু কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

খেতজুড়ে সব ধান মরে সাদা ও হলুদ হয়ে গেছে। পাশের খেতে মরা ধানের শিষগুলো তুলছিলেন কৃষক সাইদুল (৫৫)। তিনি এবার নিজের এক বিঘা ও সনকরা (ইজারা) আরো দুই বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এবার ধানের শিষ বের হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় সব ধান চিটা হয়ে গেছে।

একদিকে কিস্ত্রী আরেক দিকে ধান সব চিটা হয়ে যাচ্ছে। আমাগো কি দেখার কেউ নেই? ঘারুন ভূঁইয়া জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়েছেন। কৃষকেরা জানিয়েছেন, খেতের বেশির ভাগ ধান চিটা হয়ে গেছে। ঝড়ে ধানের শিষ ও ফুল পড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।