নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, আমাকে আমার কর্মীরা তলব করেছে যে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা প্রচন্ডভাবে উত্তেজিত। বাদল, খোকন সাহা আমাকে বলেছে। নারায়ণগঞ্জে পরিস্থিতি নাকি অনেক জটিল। আমার নেতাকর্মীরাও দেখলাম উত্তেজিত, ঠিকই আছে। আপনাদের মতো বয়সে আমরাও উত্তেজিত ছিলাম। আল্লার রহমত যে আমি ২০১১’র শামীম না। বয়স ও বাড়ে সেই সাথে ধৈর্যও বাড়ে। বিষয়টা কী?
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে শহরের ইসদাঈর বাংলা ভবনে আওয়ামী লীগ পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্তে রুখে দাড়াও ব্যানারে জরুরী কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, যারা এসছেন হঠাৎ করে বিদেশী মেহমান হয়তো কারও খেলাতে পা দিয়ে দিয়েছেন। কখন থেকে এই খেলা শুরু হলো? আমি কারও নাম বলবো না। এগুলারে আমি গনায় ধরি না। জামায়াতের সাথে কানেকশন স্টেপ পাওয়া গেলো। তদন্ত হলো জামায়াতরে আমীর বললো এবং গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হলো। বলা হলো যে, নারায়ণগঞ্জে যদি আওয়ামী লীগ চেক দিতে হয় শামীম ওসমানকে ঠেকাতে হয়। তাহলে ওমুককে চেক দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি জামায়াতের ক্ষমতা নাই যে আওয়ামী লীগকে প্রটেক্ট করে এবং একটা নামও বললো যে শামীম ওসমানকে প্রটেক্ট করো। এই জন্য ওনারা এজেন্ট নিয়োগ করলো। আমরা তখন শাহ হাফিজুর রহমান সহ ১৯ জন মন্ত্রীকে তোলারাম কলেজে ঢুকতে দেয়নাই। জিয়াউর রহমানের গাড়ীর প্লাকার্ড ছিড়ে ফেলেছিলাম। জিয়াউর রহমান পতাকা নিয়ে ঢুকতে পারে নাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজুন ভূইয়া, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইবৃাহিম চেঙ্গিস, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমূখ।