সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সৌদির আরবের আবহাওয়ার মতো ছিল ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি । দিনের বেলায় মরুর উত্তাপ। রাতে শীতল আবহাওয়া। মঙ্গলবার জেদ্দায় দক্ষিণ আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাচের আগে তেমনই উত্তাপ ছড়িয়েছে। কিন্তু ম্যাচটা শেষ হতে যাচ্ছিল ম্যাড়মেড়ে গোল শূন্য সমতায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের যোগ করা সময়ে মিরান্ডার গোলে তরুণ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
মাঠে অবশ্য ‘ঝানু’ ব্রাজিল দলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার ‘তরুণ’ দল যেভাবে লড়ে গেলো তাতে প্রশংসার দাবি রাখে তারা। ব্রাজিলের শুরুর একাদশে বিশ্বকাপে খেলা ১০জন ফুটবলার ছিলেন। আর আর্জেন্টিনার গোটা চারেক। কিন্তু সেই দল নিয়েও তিতের ব্রাজিল পেরে উঠছিল না। ম্যাচ গোল শূন্য সমতায় শেষ হচ্ছে বলেই ধরে মনে হচ্ছিল।
এমন সময় ম্যাচের ৯৩ মিনিটে কর্ণার পায় ব্রাজিল। তা থেকে হেডে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ান ব্রাজিল ডিফেন্ডার মিরান্ডা। ব্রাজিল ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আর স্কালোনির আর্জেন্টিনাকে উপহার দেয় হতাশা।
ম্যাচে অবশ্য দু’দলই বেশ কিছু আক্রমণ করেছে। তবে ব্রাজিল নেইমার-কৌতিনহো-আর্থারদের নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন করেছে। তিতের দল বল পায়ে রেখেছে বেশি, পাস করেছে বেশি। এমনকি গোলের লক্ষ্যে শটও নিয়েছে বেশি। কিন্তু গোল পেতে লেগে গেছে ম্যাচের শেষ সময় পর্যন্ত। পুরো ম্যাচে ব্রাজিলের পায়ে ছিল ৬৩ ভাগ বল। গোলের লক্ষ্যে আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে একটি আর ব্রাজিল শট নিয়েছে তিনটি। এছাড়া সেলেকাওরা সফল পাস দিয়েছে ৫২৪টি। আর ছোট পাসে অভ্যস্ত আর্জেন্টিনা সফল পাস করেছে ২৯২টি।
কিন্তু বল নিয়ন্ত্রন কিংবা সফল পাসের পরেও আসল কাজ তো গোল করা। কোন দল পাচ্ছিল সেই গোল। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে দারুণ এক শট নেন মিরান্ড। কিন্তু গোলরক্ষকের সেভের পর আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার গোল লাইনে যাওয়ার আগে ফেরান সে শট। এরপর আর্জেন্টিনাও সুযোগ পায় একটি কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে নেইমারের বুদ্ধিদিপ্ত ফ্রি কিক ফাঁকায় থাকা আর্থার পেয়ে যান। দারুণ এক ভলি করেন তিনি। কিন্তু আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো ভালো একটি সেভ করেন। ৭৭ মিনিটে নেইমারের নেওয়া ফ্রি কিক গোল পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। এরপর ৮৫ মিনিটে আবার সুযোগ পান কাসেমিরো। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
তবে ৯৩ মিনিটে আর গোল বঞ্চিত হয়নি ব্রাজিল। সৌদির বিপক্ষে নেইমারের শেষ সময়ে কর্ণার থেকে গোল করেন ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রো। এ ম্যাচের শেষ সময়ে নেইমারের নেওয়া কর্ণার থেকে গোল করেন আরেক ডিফেন্ডার মিরান্ডা। ওই গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।