উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। দুইবার এগিয়ে গিয়েও মেসি-এগুয়েরোর প্রতিরোধে জয় বঞ্চিত হয়েছে কাভানি-সুয়ারেজরা। তবে এই ম্যাচে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে লিওনেল স্কলানির আর্জেন্টিনা। সেই সঙ্গে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থাকলো তার দল।
প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলই নিজেদের সেরা একাদশটাই মাঠে নামিয়েছিল। এদিন প্রথম থেকেই উরুগুয়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে আর্জেন্টিনা। বলের দখল, নান্দনিক পাস, লক্ষ্যে ছুটে চলা সবই ছিলো মেসিদের খেলায়। তবে এগিয়ে যায় উরুগুয়েই। ৩৪ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এডিনসন কাভানি। অবশ্য প্রথমার্ধ শেষের আগেই সেই গোল শোধ করার ভালো সুযোগও পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির সঙ্গে নেমে ভালোই খেলছিলেন দিবালা। কিন্তু মার্কোস আকুনিয়ার ক্রস গোলের সামনে থেকেও প্রথম দফায় পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন, দ্বিতীয় চেষ্টায় অবশ্য বল জালে জড়িয়েছিলেন, কিন্তু এর আগেই একবার বলে হাত লেগেছিল দিবালার, তাই সেই গোল আর পাওয়া হয়নি তার।
৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি কিকে মাথা ছুঁয়ে গোল আদায় করেন ম্যান সিটি তারকা সার্জিও এগুয়েরো। আর্জেন্টিনার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আরেকটি ফ্রি-কিক থেকে আবার পিছিয়ে পড়েন মেসিরা। সুয়ারেজেই আর্জেন্টিনার বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক আদায় করে নিয়েছিলেন। এর পর সরাসরি ফ্রি-কিক থেকেই গোল করে দ্বিতীয়বারের মতো দলকে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। ৯০ মিনিটে আগুয়েরোর হেড কাম্পানা আবার ঠেকিয়ে দিলে হারটাই অনুমিত মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনার জন্য। তবে এর দুই মিনিট পরই মার্টিনেজের অবদান থাকল আর্জেন্টিনার ফেরায়। তাতে নেতৃত্ব দিলেন মেসি। আগের ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেও পরে বল জড়িয়েছিলেন জালে। এবার কাম্পানা আগে থেকেই নিজের বামদিকে ঝাঁপ দিয়ে ফেলেছিলেন। মেসির গড়িয়ে মারা শট তাই কোনো বাধা পায়নি গোল পর্যন্ত পৌঁছাতে।