সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
২ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণের পর আরো ১০ হাজার তৈরীর প্রস্তুতি নিয়েছেন নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ১৩নং ওয়ার্ডের সকল মসজিদ ও মন্দিরের মুসুল্লী ও পূজারীদের হাত জীবানু মুক্ত করার জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে দেয়া হয়েছে। শেষ হলে প্রতিদিন রিফিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও হ্যান্ড ওয়াস লিকুইড সোপ তৈরীর চেষ্টা করা হচ্ছে চলছে।
এদিকে খোরশেদের শরানপন্ন হতে শুরু করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ২১ মার্চ শনিবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে কাউন্সিলর অফিসে লোকজন জড়ো হয়ে রপ্ত করার চেষ্টা করেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কৌশল। জেনে নেন কিভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ এ এক ধরনের ওষুধ।
খোরশেদ বলেন, শনিবার নারায়ণগঞ্জ বিদ্যা নিকেতন, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন, পোলস্টার ক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসেছিল। তারা মূলত হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির উপাদান ও নিয়ম জেনে গেছেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ জানান , আমরা কেমিস্ট বন্ধুদের ফর্মুলা অনুযায়ী এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করছি। প্রতি ২৬ লিটারের জন্য আমরা ব্যবহার করছি আইসো প্রোফাইল এ্যালকোহল ১০ লিটার, গ্লিসারিন ২.৫ লিটার, পানি ১৩ লিটার, এলভেরা (ঘৃতকুমারী) জেল ৫০০ এমএল, এসেনসিয়াল ওয়েল ২৫ এমএল।
খোরশেদ ক্ষোভের সাথে জানান, এসব উপাদান ঢাকা মিটফোর্ড মেডিসিন মার্কেটে কিনতে গিয়েও চরম অভিজ্ঞতা হয়েছে। যে প্লাস্টিক বোতল ছিল ২টাকা সেটি কিনতে হয়েছে ১০টাকায়। স্যানিটাইজারের মূল উপাদান আইসো প্রোফাইল এলকোহল এতদিন ছিল ১২০ টাকা লিটার, আমাকে কিনতে হয়েছে ৩০০ টাকা লিটার। শুধু তাই নয়, দোকানদার বলে দিয়েছে আজই বেশী করে কিনে নেন, কাল থেকে ৬০০ টাকার এক টাকাও কম হবে না। আমার মনে হয় এদিকেও প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।