আজ সোমবার, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমি দলে বিভক্ত, আদর্শে না- সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি তার আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশের বাহিরে আমি কোন কাজ করবো না। আমি দলে বিভক্ত হতে পারি কিন্তু আদর্শে বিভক্ত না। আমার রক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার রক্ত, আমার রক্ত আওয়ামী লীগের রক্ত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া বালক ও বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ভিত্তি স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, শিক্ষার কারনে আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ অনেক পিছিয়ে গেছি। আমরা নেতা বানাতে পেরেছি কিন্তু নেতা হতে পারি নাই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষিত বানাতে হবে। যুদ্ধেও সময় রাজাকার আল বদর ছিল বিদায় এই দেশ স্বাধীন করতে দির্ঘ ৯ মাস সময় লেগেছে। তারা যদি না থাকত দেশ স্বাধীন করতে আমাদের ৯ দিন লাগত। প্রত্যেক জায়গায় শয়তান ভর করে। সবচেয়ে বড় শয়তান ইবলিশ। এরকম শয়তান নারায়ণগঞ্জে আছে কি না আমি জানি না। সবাই যদি ভালো হত তাহলে মানুষের দুই কাধে দুটা ফেরেস্তা আল্লাহ দিত না।

সংসদ সদস্য বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ আজ অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধ করছে। আর সেই যুদ্ধ করোনা ভাইরাস থেকে বেচে থাকার যুদ্ধ। মানুষ খাবারের জন্য রাস্তায় বের হয়ে মিছিল করছে। সরকার কিছু দিন আগে লকডাউন দিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের তাগিদে আবার খুলে দেয়া হয়। তাই আমাদেরকে সতর্ক থেকে চলাচল করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলো একটা অস্ত্র বানানোর জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটা ঔষধ বানাতে পারে নাই। অনেক চেষ্টার পরে নারায়ণগঞ্জে করোনা হাসপাতাল বানাতে পেরেছি। এখানকার ব্যবসায়িদের উদ্যোগে আরো একটি ল্যাব তৈরী করা হবে। যাতে তারা তারি যে কোন এলাকা থেকে করোনা টেষ্ট করা যেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমান চিকিৎসা আমরা এখনো দিতে পারতেছিনা। কেননা আজ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন ঔষধ বের হয়নি।

সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের কাউন্সিলর বাবু এখানে না আসায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। তিনি কেন আসলেন তা আমি জানি না। আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের এখানকার রাস্তা দিয়ে পার হতে অনেক সমস্যা হয়। আমি কাউন্সিলরকে অনুরোধ করবো তিনি যেন সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে আলাপ করে রাস্তাটি রিপিয়ার করার ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় মেয়রের অনুমতি সাপেক্ষে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হউক। রাস্তাটি কিভাবে সংস্কার করা যায় আমরা ভেবে তার ব্যবস্থা নিবো। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা যদি আমাদের ত্যথ না দিতেন তাহলে আমরা সঠিক ভাবে জানতে পারতাম না। আর আপনাদের বলতে পারতাম না।

পাইক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যকরি পরিষদের সভাপতি নাহিদা বেগম সভাপতিত্বে এসময় উপডস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবদুল কাদির, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, পাইক পাড়া ১৫ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিস আহমেদ, পাইক পাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি এসকে ওয়াজেদ আলী বাবুল, শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।