আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমি খুনি সালাউদ্দিনের মাইয়া

পাশের ৩ তলা ভবনের উপর থেকে গরম পানি ও ইটের টুকরো ফেলছেন রাজমিস্ত্রীদের লক্ষ করে। ভেঙ্গে দিয়েছে দেয়াল। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা ও হামলার হুমকিও দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে ভয় দেখিয়ে বলছে, ‘আমি খুনি সালাউদ্দিনের মাইয়া’। অভিযুক্ত ওই নারীর নাম প্রিয়াসা (৩২)। সে ফতুল্লার রামাররাগ এলাকার বাবুল মিয়ার স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত. সালাউদ্দিনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘প্রিয়াসার পিতা সালাউদ্দিনের মৃত্যুর পূর্বে একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন। তাই চুন থেকে পান খসলেই তিনি সকলকে ভয় দেখাতে নিজেকে খুনি সালাউদ্দিনের মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেন।’

প্রায় দেড় শতাংশ জমিতে প্রিয়াসা ৩ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সেই বাড়ির ব্যবহৃত পানি ফেলা হতো পাশের খালি জমিতে। জমিটির মালিক ওই এলাকারই মো. রহিম বাদশা নামের ৪৫ বছরের এক ব্যক্তি। সম্প্রতি সেই জমিতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন তিনি।

রহিম বাদশা বলেন, জমিতে পানি ফেলতে পারবে না ভেবেই প্রিয়াসা দাবি করেন আমার মালিকানাধীন জমিতে জায়গা পাবেন তিনি (প্রিয়াসা)। ১৩ জুন সকালে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে ইট নিক্ষেপসহ গরম পানি দ্বারা শ্রমিকদের শরীর ঝলসে দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রিয়াসা। তার এই কাজে সহযোগীতা করেন স্বামী বাবুল হোসেন (৩৮) ও তার পিতা আবুল হোসেন (৫০)।

কারণ জানতে চাইলে আমাকেও মারধর করার চেষ্টা করে তারা। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ছেড়ে দেন। তবে, হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুই যদি জমিটিতে বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করস, তাহলে তোকেসহ পরিবারের সদস্যদের মারিয়া ফেলবো ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবো।’

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বাদশা মিয়া। ১৫ জুন দুপুরে তদন্তে গিয়েছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির।
ঘটনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে হুমায়ন কবির বলেন, ‘বিয়ষটি সমাধান হয়ে গেছে’।

জমির খালি অংশে প্রিয়াসার বাড়ির ব্যবহৃত পানি ফেলতে দেওয়ার শর্তে রহিম বাদশাকে নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ করতে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।