নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আজকে আমার গাড়িতে অস্ত্র আছে কিনা তা আমি নিজেও জানি না। ২০০১ সালের আগে পুলিশ ফোর্সের কাছে যত অস্ত্র না ছিল তার থেকে বেশি অস্ত্র একা নিজের কাছেই ছিল ।
রোববার (১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইনসে জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ এর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য হিসেবে নয়, জনগণ হিসেবেই তাদের প্রত্যেকটি কথায় টের পাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে চান। আমি ইদানীং একটু ওয়াজে যাই। অনেকেই এ নিয়ে টিটকারী মারে। বাট আমি কোরআন শরিফটা পড়ি। বাইশ বছর ধরে তাহাজ্জুতটা ছাড়ি নাই।
তিনি বলেন, এসপি সাহেবকে দেখালাম, গতকালকে একটা লিস্ট করেছিলাম। সেখানে দেখলাম, ৭৫ এর পর থেকে ৫০ জনের উপরে মারা গেল। একটা হত্যার বিচারও পাই নাই। দুই হাজারে বোম ব্লাস্ট হলো বিচার পাই নাই। আপনারা পুলিশ। পৃথিবীতে অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পেশা এটি। ১৩-১৪ সালে আপনাদের উপর যে কি নৃশংস হামলা হয়েছে এটাতো আমাদের চোখেই দেখা। জনগণ যদি এগিয়ে না আসে তবে পুলিশের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। সারা দেশে যখন আগুন সন্ত্রাস চলছে তখন এই নারায়ণগঞ্জে একটা কিছুও করতে পারে নাই। এই ক্রেডিট নারায়ণগঞ্জের মানুষের এবং পুলিশের যৌথভাবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, জেলা পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ডা. শাহ নেওয়াজ, র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সদর থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক, বন্দর থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, সোনারগাঁ থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান প্রমূখ।