আন্ডা রফিকের
সংবাদচর্চা ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ,বিএনপি জামায়াত যেনো কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে সে জন্য কেন্দ্রের নির্দেশে রুপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে রুপগঞ্জের ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করার নির্দেশ দেয়। পূর্বঘোষিত নির্দেশ অনুযায়ী কাঞ্চন ব্রীজের নিচে হাবিব নগর এলাকায় দাউদপুর ইউনিয়ন,রুপগঞ্জ ইউনিয়ন ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
এদিকে ৫০০ গজের মধ্যে একইস্থানে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ লাঠিশোঠা নিয়ে আওয়ামীলীগের অবস্থানের দিকে এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাদানী গ্যাস ও শতাধিক ফাকা গুলি ছুড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রুপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা সংবাদমাধ্যমকে জানান- আমাদের পূর্বঘোষিত স্পটে সকাল থেকেই আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করেন।এদিকে আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে রফিক চেয়ারম্যানের গ্যানম্যান ও সমর্থকরা আমাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ ও ককটেল চার্জ করে।এতে অামাদের কর্মী সুমন নিহত হয়।
এছাড়া সংঘর্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যের একান্ত বিশেষ সহকারী কামরুজ্জামান হীরা ,যুবলীগ নেতা আমির, জয়নাল,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা জসীম,রাজু,ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়,জুয়েল,শামীম,আবুল কালাম,তারেকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
আহতের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় মুড়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বলেন-আজ উপজেলায় থানা সমন্বয় কমিটির মিটিং ছিলো,রফিক এই মিটিং এ উপস্থিত না থেকে উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে , আর গুলি তো হবেই তার সাথে যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলেক থাকে। যাকে তিনি ওনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে রাখেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন- রফিক কোন আওয়ামীলীগের কর্মী না। তার সাথে ৭০% লোক বিএনপি করে।সে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার যদি কোন কর্মসূচী থাকে তাহলে সে কায়েতপাড়ায় করবে । তাই উচ্ছৃঙ্খলতা করার জন্যই আমাদের লোকজনের উপর হামলা।
