আজ শনিবার, ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আতঙ্কে ঝিমিয়ে পড়েছে না’গঞ্জের রাজনীতি

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ

দলীয় কোন্দল একের পর এক মামলা হামলার আতঙ্কে ঝিমিয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। নেতারা মাঠে নেই, তাই প্রাণহীন এ জেলার রাজনীতি। এছাড়াও নেতারা নিস্ক্রীয় থাকায় নীরব দলের কর্মী সমর্থকরাও। এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মাঠে সক্রিয় ভাবে দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে সরকারী দলের ক্ষমতাশীল অনেক নেতারাও গ্রেফতারি আতঙ্কেও রয়েছেন মাঠের বাহিরে। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভের অন্ত নেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা যায় না। ফলে বর্তমান রাজনীতি এখন অনেকটাই নিষ্কীয়। তাছাড়া ২০ দলীয় জোটের জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীল অধিকাংশ নেতা এখন মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন অনেকটা আত্মগোপনে। আর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অস্থিরতায় নিষ্পেষিত হচ্ছে ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম। এ সকল কারণেই হঠাৎ থমকে গেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি।

জানা যায়, দলের হাই কমান্ডের ওপর মান অভিমানে জেলার বেশ কয়েকজন নেতা রাজনীতিতে রয়েছেন নিস্ক্রীয়। নিজ নিজ দলের স্থানীয় এ সকল জনপ্রিয় নেতারা রাজনীতির মাঠে না থাকায় তাদের সমর্থক ও কর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। এদিকে নেতাদের অনেককেই কোণঠাসা করতে রাখা হয়েছে দলের মূল ¯্রােতের বাহিরে। আবার কেউ কেউ নিজ দলের গ্রুপিং দ্বন্দ্ব কিংবা প্রতিপক্ষের হামলা মামলায় নাজেহাল হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না মাঠে। বিএনপি, জাতীয়পার্টি, আওয়ামীলীগের কয়েকজন জনপ্রিয় প্রভাবশালী নেতারা অনেকটাই রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকেই মাঠে আছেন ভক্ত ও সমর্থকদের অস্তিতের ধরে রাখতে। শুধু একারণেই অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার বড় ৩টি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম। স্থানীয় নেতা কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় এ নেতারা মাঠে না থাকায় এখন দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো পালিত হয় অনেকটাই লোক দেখানো জন্য। এদের শূন্যতা তৃমূলের নেতারা উপলব্ধি করলেও টনক নড়ছে না দলীয় হাই কমান্ডের। দলের নিবেদিত কর্মীদের দাবি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এ সকল নেতারা মাঠে থাকলে কর্মী সমর্থকরা আরো উজ্জীবিত হয়ে মাঠে থাকতেন। এরা না থাকায় অনেকটা প্রাণহীন জেলার রাজনীতি।

স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ কালে তারা তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ওই সকল নেতারা তাদের নিজ গুণ আর কর্মে ঠাঁই পেয়েছেন মানুষের অন্তড়ে। এদিকে অভ্যান্তরিন দ্বন্ধে অনেকটা কোণঠাসা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড.তৈমুর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজি মনির, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের-৫টি আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ১ ও ৪ আসনের দলীয় কর্মসূচী প্রদানের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অস্তিতের বিষয়টি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরলেও বাকিরা নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।

এর মধ্যে জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা দলীয় কর্মসূচী পালনে যোগ্যতার প্রমান দেখালে জাতীয় পার্টির অপর সাংসদ সেলিম ওসমান অন্যদিকে মন দিয়ে রয়েছেন। তবে আগামীতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি সরব হবে এমনটাই প্রত্যাশা নারায়নগঞ্জের সর্বস্থরের রাজনৈতিক মহলের। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সিনিয়র সহসভাপতি মেয়র ডাঃ সেলিনা।