আজ সোমবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ উদ্বোধন স্বপ্নের ভূলতা ফ্লাইওভার ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু

 ভূলতা ফ্লাইওভার এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভার : পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী
 ১০০ বছরের স্থায়িত্ব দ্বিতীয় কাচঁপুর সেতু : প্রকল্প পরিচালক

# ১৪০ উপজেলার মানুষ যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছে

সংবাদচর্চা রির্পোট:
আজ শনিবার গণভবন থেকে রূপগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জের সর্ববৃহৎ প্রকল্প ভূলতা ফ্লাইওভারের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের একটিলেন ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রূপগঞ্জ বাসির স্বপ্ন পূরণে আরেক ধাপ এগিয়ে নিলেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রূপগঞ্জ বাসির দুর্ভোগ নিরসনের লক্ষে ২০১০ সালে গোলাম দস্তগীর গাজী জাতীয় সংসদে ভূলতা ফ্লাইওভার নির্মানের দাবি জানান। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহনের পর ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ লেন বিশিষ্ট তৃতীয় তলা ফ্লাইওভারটির নির্মান কাজ শুরু করে। এই ফ্লাইওভার নির্মানের কারনে সিলেট বিভাগের ৪০টি উপজেলার সাথে ঢাকার সড়ক পথে যোগাযোগে যানজট কমে আসবে। সিলেটের ১৩ টি উপাজেলা, হবিগঞ্জের ১১টি উপাজেলা, মৌলভীবাজারের ৯ টি উপাজেলা ও সুনামগঞ্জের ৭ টি উপাজেলার মানুষ যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছে।

এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধনের পর রাজধানী ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতি করা হল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতী নদী।

সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতী নদীর উপর দিয়ে ১৯৭৭, ১৯৯১ ও ১৯৯৫ সালে ২ লেন বিশিষ্ট কাঁচপুর সেতু এবং ২ লেন বিশিষ্ট মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধনের ফলে যানজটের দুর্ভোগ কমে আসবে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১০০টি উপাজেলার মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানযট থেকে মুক্তি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি, কুমিল্লার ১৬টি, কক্সবাজারের ৮টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি, ফেনীর ৬টি, চাঁদপুরের ৮টি, লক্ষ্মীপুরের ৫টি, নোয়াখালীর ৯টি, খাগড়াাছড়ির ৮টি, রাঙ্গামাটির ১০টি, সহ বান্দরবানের ৭টি উপজেলার যানজট নিরসন হবে।

ফ্লাইওভার উদ্বোধনের ব্যাপারে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ভূলতা ফ্লাইওভার এশিয়ার সর্ববৃহত ফ্লাইওভার। এ ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর আর কোন যানজট থাকবে না। জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পাবে। জনগণকে আমি যা ওয়াদা দিয়েছিলাম তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করেছে।

অপরদিরেক, কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, চার লেনের নতুন কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুটির ভিত্তি কংক্রিটের ঢালাই এবং ৫টি পিলারের ওপর স্টিল গার্ডারের। ১০০ বছরের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে নির্মাণ করা সেতুটির ঠিকাদার যৌথভাবে জাপানি চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মূল সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ১ হজার ৩০০ কোটি টাকা। তিনি আরো জানান, কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ১০ মার্চ উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ১৬ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করবেন।