গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগিকে ফের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ । রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া সেলিম প্রধানের দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোমান।
গত ৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান এই তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর রবিবার দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
সেলিম প্রধান ও রোমানের পক্ষে তাদের আইনজীবী ইয়াসিন জাহান (নিসান ভূঁইয়া) এবং আক্তারুজ্জামানের পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম মামুন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। প্রয়োজনে আসামিদের তারা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন যা সাত কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় ও বনানীর বাসায় অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, দুটি হরিণের চামড়া, তিনটি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়।
সেলিম প্রধান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি তারেক রহমানকে টাকা পাঠান। তার বিভিন্ন পার্টিতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা যাওয়া রয়েছে, সেগুলোতে মেয়ে সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই মেয়েরা ভিআইপিদের বিনোদন দেওয়ার কাজ করতেন।( সুত্র :ইত্তেফাক)
বাসায় হরিণের চামড়া রাখার অপরাধে সেলিম প্রধানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ অক্টোবর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। গত ৩ অক্টোবর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এ তিনজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার এ মামলায় রিমান্ড শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া সেলিম প্রধানের গ্রামের বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের মর্তুজাবাদ এলাকায়। তার বাবার নাম নান্নু মিয়া।তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি গাউছিয়া মার্কেটে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখল করে রেখেছিলেন। সেটা সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে।