আজ মঙ্গলবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অর্থের মালিক হলেই সবকিছু করা যায় না : আনোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর আম্রকাননে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়ে ছিলেন। সে মীরজাফরের প্রেতাত্মারা পাকিস্তানের দোসর একইভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন বাংলার বিরুদ্ধে কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৩শে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন তিনি। বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীর নিকট আকুল আবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, যা আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমাদের পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

২৩ জানুয়ারী বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের ৫বছর পূর্তি দিনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

অন্যান্য দিনের মত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের গিয়ে অফিস করছেন আনোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন হাজী সহ অফিস কর্মকর্তারা।

সফলতা সহিত দায়িত্ব পালন নিয়ে তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ৫ বছর চলে গেলো আজ। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে আমাদের সময় নষ্ট হয়েছে। এরপরও আমার থেমে থাকি নাই, মানুষের কল্যাণের আমাদের জেলা পরিষদ সব সময় কর্মব্যস্ততায়। পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক কষ্ট করেছি, আখের গোছানোর চেষ্টা করিনি। আমাদের অর্থ ছিল না, যার কারণে অতবড় নেতা হতে পারিনি। মানুষের জন্য যদি কাজ করা যায় এটাই আমার সম্পদ। অর্থের মালিক হলেই সবকিছু করা যায় না। আমার জন্য নারায়ণঞ্জবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমি যেন সেবা দিতে দিতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আপনাদের ভাই, বন্ধু। সারা জীবন রাজনীতি করেছি। চেষ্টা করেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। মানুষের জন্য কাজ করতে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয়। আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নেই, বাড়ি-গাড়িও নেই। এসব না থাকলেও ইচ্ছা ছিল মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সরকারি সহায়তায় মানুষের জন্য কিছু করার। রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, কারা নির্যাতিত হয়েছি। জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি। জাতির জনকের সান্নিধ্যে একবার আসতে পেরেছিলাম, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মানুষকে ভালবাসতে।