আজ বুধবার, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অমানুষগুলোকে খুঁজে না পুলিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওইটুকু দেহ যে কারোই আদর করে কোলে নেয়ার কথা। বুকের সাথে ঝাপটে ধরে উচ্ছাসিত হওয়ার কথা। তবে মানুষ রূপী কিছু অমানুষ তা না করে ফেলে দেয় সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটিকে। শহরের চারারগোপ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের একই স্থানে কয়েকবার একাধিক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এরপর আর কোন খবর পাওয়া যায় না। কারা নবজাতককে এখানে ফেলে গেলো, তা নিয়ে কোন ভাবনা নেই সদর থানা পুলিশের। যদিও সচেতন মহল বলছেন, আধুনিক এ যুগে পুলিশের পক্ষে এর রহস্য বের করা অসম্ভব নয়।
হতভাগ্য নবজাতকের লাশ গুলো একদিন থেকে ৭ দিন বয়সী বলছে পুলিশ। স্থানীয়রা নদীর পাড়ে শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন। পরে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। উদ্ধারকৃত শিশুদের লাশ দাফন করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি কবরস্থানে। তবে কে বা কারা নবজাতকের লাশ ফেলে যায় সেই রহস্য এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী লক্ষী চক্রবর্তী বলেন, উদ্ধার হওয়া নবজাতকের লাশ গুলো কোথা থেকে আসছে। সেগুলো কি হাসপাতাল থেকে আসছে না কান ঘটনার সূত্র তা খুজে বের করা দরকার। তিনি বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সজাগ থাকা প্রয়োজন। তাহলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকার হওয়ায় সেখানে নবজাতকের লাশ ফেলা দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ যদি ওই এলাকায় নিরাপত্তা দিতেন তাহলে কারা নবজাতকের লাশ ফেলে যায় তা বের করতে পারতেন। পুলিশের তো একটাই কথা নজরদারি আর তদন্ত। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি প্রত্যশা করে পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারি সকালে চারারগোপ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে একটি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা নদীর পাড়ে নবজাতকের মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে শহরের কালিরবাজার মসজিদের পাশে রক্ষিত ময়লার স্তুপ থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ একটি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছিলো। উদ্ধারকৃত নবজাতকের লাশটি একটি লুঙ্গি দিয়ে পেচানো ছিলো। তবে, কে বা কারা শিশুর লাশটি এখানে ফেলে গিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান জানান, যেখান থেকে নবজাতকের লাশ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে ওই এলাকায় রয়েছে মেডিকেল ও ক্লিনিক। আমরা বুঝতে পারছি বিষয়টা কি হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ