আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অবৈধ দখল দূষণে নাব্যতা সংকটে সংকুচিত নদীপথ

# নদীগুলো মেরে ফেলছে শিল্পপতি ও আমলারা: নাগরিক কমিটি
# নাব্যতা সংকট ও দখলমুক্ত করা হবে : যুগ্ম পরিচালক

অপরাধ প্রতিবেদক
নদীতে নৌযানে চলাচলের সময় দূর্ঘটনার কবলে যারা পড়েছেন তারাই জানেন এই পথের দূর্ঘটনা কতটা মর্মান্তিক। নদীতে দূর্ঘটনার অন্যতম কারন নৌ ঝুঁিক। এছাড়া নাব্যতা সংকটের কারনে সংকুচিত হয়ে পড়ছে গতিপথ। বিভিন্ন নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়ে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে নদীপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার। বিগত কিছুদিন ধরে নদীর পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চলছে কিন্তু এই সকল অভিযানে নদীর গতি ও দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে কঙ্কা রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মানুষের।

অপরদিকে নদী মরে গেলে দুই তীরের জনজীবনে নিশ্চলতা সৃষ্টি হয় দখল প্রক্রিয়ার কারণে। যেভাবে নদী মারা যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নদীমাতৃক বলা যাবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে বুড়িগঙ্গ, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী, সুরমা, কীর্তনখোলা, রূপসা ভূমি আগ্রাসনে পড়েছে শহর তীরবর্তী প্রায় ৭০টি নদী। কেবল নদী নয়, শহরের ভেতর বা পাশের খালগুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। নদী থেকে ভূমি সৃষ্টির জন্য নেওয়া হচ্ছে বিচিত্র সব কলাকৌশল।

বাণিজ্যিক শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত সারা বিশের কাছে নারায়ণগঞ্জ। এ শহরে গড়ে ওঠা নদীবন্দরের সাথে চট্টগ্রাম, মোংলা, ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন নৌপথের সংযোগ রয়েছে। তবে নাব্য সংকট, নদী দখল ও দূষণের কারনে নৌপথ সংকুচিত হয়ে বিভিন্ন নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। নদীসমৃদ্ধ জেলা নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ব্রক্ষ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর দু’পাশে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় নদীপথ ছোট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে নদী ভরাট করে নদী দখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে জেলার ৫টি নদীতে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চ, ট্রলার, তেলের ট্যাঙ্কার, পণ্যবাহী জাহাজ ও বালুবাহী যন্ত্রচালিত প্রায় আড়াই হাজার নৌযান প্রতিদিন চলাচল করে। আর এসব নৌযানগুলোর সাথে পেশাগতভাবে জড়িত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক।

নারায়ণগঞ্জ দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদীতে অবৈধ দখল, দূষণ ও নাবসংশ্লিষ্টদের দাবি, নদীপথের অনিয়মরোধে ব্যবস্থা নেয়াসহ নদীগুলোর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা জরুরি দরকার। এছাড়া নদ দখল, শিল্প ও কলকারখানার দূষণ এবং নাব্য সংকট সমাধানসহ নদীপথের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে নদীগুলোকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবিসিদ্দিক দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, নদী বাচাও। নদী গুলোকে মেরে ফেলছে শিল্পপতি ও আমলারা । ২০০৬ থেতে নদ্যী কাজ করছি ৪৫ মিনিট অবরোধ করছে। নদীর আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয় আবার চলে আসে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। নদীকে দূষণ করছে চোরেরমত রাতের বেলা শিল্পপতিরা। সরকারের কাছে আহবান করছি সরকার আমলাদের পরিপূর্ণ করার জন্য তাগিদ দেক।
তবে বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক মো: গুলজার আলী জানান এ সমস্য সমাধান করা হবে। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নাব্যতা সংকট ও দখলমুক্তসহ নারায়ণগঞ্জের নদীগুলোকে রক্ষার ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন বিষয়টি তুলে পরিকল্পনার কথা জানালেন।