আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অনলাইন টিভির নেমপ্লেট লাগিয়ে চান মিয়ার ভূমিদস্যুতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক ভুক্তভোগী চান মিয়া নামক এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুতার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।

এসময় হয়রানি, মিথ্যা মামলা এবং চান মিয়ার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম ও সাদেকুর রহমান লাভলু।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক বলেন, ২০০৯ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা হতে বাড়ি নির্মানের একটি প্লান পাশ করা হলেও প্রতিবেশী চান মিয়ার কথামত না চলার কারনে গত ২ বছর যাবৎ শত্রতা শুরু করেন, তিনি বিদ্ডিং এর কার্ণিশ ভাংগার জন্য ২য় জজ আদালত নারায়ণগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে বাড়ির প্রান নেই দাবী করেন। আদালতে যখন সেই বাড়ির প্লান সাবমিট করলাম, তখন সে মিথ্যাবাদী প্রমানিত হলো। একই ভাবে রাজউক, ঢাকা, রাজউক, নাসিকে মিথ্যা অভিযোগ দিতে থাকে এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়।

পরবর্তীতে সে জোড় পূর্বক নিজস্ব জায়গায় বসানো পানির মটরের উপর ঢালাই করে বন্ধ করে দেয়। মটর সাড়ানোর জন্য তা উঠাতে গেলে বাধা দেয়। পরবর্তীতে মেয়রের অনুমতি নিয়ে আসলেও সে আদালতে মামলা করে এবং পরবর্তীতে আদালত ঘোষণা দেয়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় মটর তুলতে সক্ষম হই। তার বিভিন্ন অত্যাচারে ভুক্তভোগীদ্বয় অতিষ্ঠ।

এছাড়া একটি গলি রাস্তা তৈরীর সময়ে চান মিয়া ভুক্তভোগীদের বিভিং ভাংগার জন্য এবং র্স্তাাটি দখল করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত করতে থাকে। এক পর্যায় বিজ্ঞ আদালত হতে চান মিয়া আবেদন করে একজন কমিশনার সার্ভেয়ার নিয়ে আসেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত কমিশনার সার্ভেয়ার তার বাড়ির জমি মাপতে গেলে বাধা দেন। কিন্তু কমিশনার সার্ভেয়ার আদালতের নির্দেশানুযায়ী মাপের কাজ শেষ করেন। মাপে দেখা যায় চান মিয়ার বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতর তার ক্রয়কৃত ৫ শতক স্থলে ৫.২৩ শতক জমি আছে।

জানা যায়, চান মিয়া তার এলাকায় ভূমি দস্যুর বলে পরিচিত। একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে ভুমিদস্যু উল্লেখ করে এসপির নিকট জমা দিয়েছেন। এছাড়া আরও অনেক জমি দখলের ঘটনা আছে। চান মিয়া ইটের ভাটার একজন লেবার থেকে বর্তমানে কোটিপতি। ২ টি প্রাইভেটকার সে ব্যবহার করেন। তার বাড়ি গাড়ি ফ্যাক্টরী ও জায়গা জমির অভাব নেই। তার এ সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেন। তার সম্পর্কে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়া তার এসব কর্মকান্ড চালাতে গাড়ির মধ্যে জাগরনী টিভি নামক এক অনলাইনের নেমপ্লেট ব্যাবহার করেন যা সরকার অনুমোদিত না। সে উক্ত নামটি ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিসে তিনি কখন সাংবাদিক আবার কখনও চেয়ারম্যান ইত্যাদি পরিচয় দেন। বর্তমানে সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীদের মারধর করার জন্য লেলিয়ে দিচ্ছেন।