নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করছে তুলার কারখানায়। নেই কোন অগ্নি-নির্বাপন যন্ত্র। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। পাশেই রয়েছে টেক্সটাইল মিল ও বেকারী কারখানাসহ আরো বেশ কয়েকটি কারখানা। আশপাশে নেই কোন পুকুর ও জলাশয়। কারখানার শ্রমিকরাও রয়েছে জীবনের ঝুঁকিতে এমটাই জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে। রূপগঞ্জ উপজেলার শিংলাবো এলাকার এলাচি হোটেলের সাথেই রয়েছে আজিজ টেক্সটাইল নামের এই তুলার কারখানাটি।
জানা যায়, আজিজ টেক্সটাইল নামের তুলার কারখানায় ১২জন শ্রমিক কাজ করে । এদের মধ্যে ৭জন নারী শ্রমিক ও ৫ জন পুরুষ শ্রমিক রয়েছে। রাতদিন এ কারখানায় শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিন্ম বেতনে কাজ করে যাচ্ছে। নারী শ্রমিকরা ১২ হাত শাড়ী কাপড় পড়েই কারখানায় কাজ করতে দেখা গেছে। যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।
কারখানার আশপাশের সব কিছুতেই মাকড়শার জালের মতো তুলা আকড়ে ধরছে। এমনকি বিদ্যুতের তার ও খুঁটির মধ্যেও তুলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া অগ্নি-নির্বাপনের কোন আধুনিক যন্ত্র নেই।
শ্রমিকদেরও এ ব্যাপারে কোন প্রকার প্রশিক্ষনও দেওয়া হয়নাই। আশপাশের কারখানার মালিকরা এই তুলার কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য তাগিদ দিলেও কোন কর্ণপাত করছেনা তুলার কারখানার কর্তৃপক্ষ। কারখানার মালিক জামাল জানান, গত বছর কয়েকবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বছর এখনও কোন আগুনের ঘটনা ঘটে নাই। তবে অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম জানান, সরকারী অনুমোদন বিহীন যেসব কারখানা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।