নিজস্ব প্রতিবেদক
চীন সহ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। এই সুযোগে সংকটের কথা বলে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ী ও ফার্মেসি মালিকরা। মাস্কের দাম পূর্বের তুলনায় দ্বীগুন। ৫ টাকার মাস্ক ১০ টাকা, ১০ টাকার মাস্ক ১৫ থেকে ২০ টাকা, ৩০ টাকার চায়না মাস্ক বিক্রি হয় ১০০ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, ফার্মেসি গুলাতে ৫ টাকার মাস্ক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাতে ভাসমান দোকান গুলোতে একই অবস্থা। আগের তুলনায় বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক।
করোনাভাইরাস এখনো বাংলাদেশে আসেনি তাহলে কেন এই মাস্কের দাম বাড়ানো হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শহরের চাষাঢ়াস্থ মের্সাস রনী ফার্মার ঔষধ ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনাভাইরাস আইয়া (এসে) মাস্করে দাম বাড়াইছে। তাই আমরাও বাড়াইছি। অন্য একজন বলেন, আমরা পাইকারী ক্রয় করতে গেলে এর দাম চায় বেশী। একটা মাস্ক বিক্রি করতে হবে ১০০শ’ টাকা। তাই কম দামি মাস্ক বিক্রি করতে হয়।
ফুটপাতের ভাসমান হকার জানান, এক সপ্তাহ আগেও আমরা মাস্ক বিক্রি করেছি দশ টাকা, বিশ টাকা, ত্রিশ টাকা কিন্তু এখন আমরাই এই মাস্ক পাইকারী কিনতে গেলে ত্রিশ টাকার টা হয়ে গেছে একশ’ টাকা। এতো দামে মানুষ কিনতে চায় না। তাই সাধারণ কমদামী গুলা বিক্রি করি। মালিক মাহাজনেরা মাস্কের দাম বারায় দিছে। আমরা তাই মানুষের কাছে বেচি (বিক্রি করি)।
মাস্ক ক্রয় করতে এসে ফারুক আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস এখন বাংলাদেশের খুব আলোচিত। মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ানোর ভয় কাজ করছে। ধুলাবলির কারণে কয়েকদিন আগে মাস্ক কিনেছি ৩০ টাকায়। কিন্তু এখন কিনতে এসে দেখি একই মাস্ক ৮০ টাকা ১০০ টাকা। ভাইরাস ছড়ানোর ভয়ে সচেতন হওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে বেশী দামে ক্রয় করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আবদুল মতিন খান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। অযাচিত ভাবে দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। যদি তা করে থাকে তাহলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হবে।
এনএইচ/এসএএইচ