আজ শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হিজাব খুলতে বাধ্য করায় মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা

অনলাইন রিপোর্ট:

যুক্তরাষ্ট্রে একজন মুসলিম নারী সেনাসদস্যকে প্রকাশ্যে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ জন্য ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন।

সেসিলিয়া ভ্যালডোভিনাস নামের ওই তরুণী বলেন, আমি সবাইকে জানাতে চাই- যখন আপনার সঙ্গে কোনও অন্যায় করা হয় তখন সেটির পক্ষে দাঁড়ানো সঠিক কাজ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের জুন মাসে আমার ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল ডেভিড জিন আমার ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরার অনুমতি দেয়ার পর থেকেই সমস্যার শুরু। তিনি দাবি করেন, হিজাব পরার পর থেকে তিনি ‘চরম বিদ্বেষমূলক’ আচরণের শিকার হতে থাকেন।
২০১৬ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা সেসিলিয়া বলেন, আমাকে ‘সন্ত্রাসী’ পর্যন্ত বলা হয়েছে। আমাকে ‘আইএস’ বলেও ডাকা হয়েছে। আমি এমনও শুনেছি, আমার কারণে ৯/১১ এর হামলা হয়েছে। সেখানে অনেক রাগ ও শত্রুতা ছিল।

তবে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট কার্সনের একটি চ্যাপেলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক ৭০৪ ব্রিগেড সাপোর্ট ব্যাটালিয়নের একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়ার সময় তিনি ব্যাপকভাবে অপমানের শিকার হন। সেসিলিয়া জানান, ওই অনুষ্ঠানে তার কমান্ডার সার্জেন্ট মেজর তার হাত ধরে সবার থেকে আলাদা করে সহকর্মীদের সামনে তাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করেন।

পরে মিলিটারি রিলিজিয়াস ফ্রিডম ফাউন্ডেশনকে (এমআরএফএফ) লেখা এক ইমেইলে তিনি জানান, আমি বিব্রতবোধ করেছি এবং এটা ধর্মীয়ভাবে অনেকটা ধর্ষণের মতো ছিল। কারণ আমার ধর্মে বলা হয়েছে, কেবল নিজের স্বামীর সামনে নিজের বাড়িতে বেপর্দায় থাকা যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে গত ৭ মার্চ মার্কিন সেনাসদস্যদের জন্য ‘সমান সুযোগ অফিসে’ অভিযোগ দায়ের করেন সেসিলিয়া। কিন্তু সামরিক বাহিনী তার অভিযোগকে ‘অপ্রমাণিত’ উল্লেখ করে অপসারিত করে দেয়।
তাই এখন তিনি সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন।