আজ রবিবার, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বপ্ন সারথি পাপ্পা গাজী

তুষার আহমেদ :

পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের যে কয়জন জনপ্রতিনিধির নাম উঠে আসে, তাদের মধ্যে অন্যতম বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। পিতার সেই পরিচ্ছন্নতার পথেই নিজেকে অলংকৃত করে চলেছেন মন্ত্রী পূত্র গাজী গোলাম মর্তূজা পাপ্পা। তিনি একাধারে দেশের সনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চায়না চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন এই উদীয়মান নেতা আগামীতে গোটা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দেবেন- এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে সেই স্বপ্ন পূরনের সারথি হবেন পাপ্পা গাজী।

জানা গেছে, নিজ পিতার ন্যায় মানব সেবামূলক নানা কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন পাপ্পা গাজী। সর্বনাশা করোনা মহামারির সময় বিশ্বের অবস্থান সম্পন্ন দেশগুলো যখন নিরুপায়, দেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছিল করোনা পরীক্ষায়, তখন নিজ অর্থায়নে দেশের একমাত্র বেসরকারী করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করেছেন তিনি। প্রতিকূলতার মাঝেও দেশের বাইরে থেকে তড়িৎ গতিতে ল্যাবের যন্ত্রপাতিগুলোও এনেছিলেন তিনি। এতে নারায়ণগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষ বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন, কার্যত চাপ কমেছে সরকারী করোনা পরীক্ষাগারের উপরেও।
শুধু কী তাই? যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রূপসীতে কিডনি ডায়ালাইসিস স্থাপনের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিলেন পাপ্পা গাজী। এতে বিনামূল্যে এবং নাম মাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন কিডনি রোগীরা। যা নারায়ণগঞ্জে এটিই প্রথম।

রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল বলছেন, উদীয়মান নেতাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী বা আলোচিত নাম এখন পাপ্পা গাজী। মেধা, শিষ্ঠাচার, পরিচ্ছন্নতা নেতৃত্বগুনাবলি ও মানবিকতার কারণে ইতিমধ্যেই তিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন, পেয়েছেন অগাধ ভালোবাসাও। তার মত এমন সু-শিক্ষায় শিক্ষিতরা নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে আসলে উদ্ভট সন্ত্রাসীমনা অপরাজনীতিকদের থেকে অবসান মিলবে নারায়ণগঞ্জবাসীর।

জানা গেছে, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা নিজেকে কেবল উপজেলাতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং তার বিচরণ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরেও। এমনকি ঢাকার রাজপথেও নাম ছড়িয়েছে পাপ্পা গাজীর। সম্প্রতি ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিগুলোতে তার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যাচ্ছে। তার ডাকে নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থেকে লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়ে থাকে হরহামেশা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিশেষ নজর রয়েছে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার প্রতি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তার সখ্যতা ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে।

ফলে রূপগঞ্জ পেড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার রাজনীতিতেও অবস্থান গড়ে উঠেছে পাপ্পা গাজীর। তবে এতেই নারায়ণগঞ্জের সমালোচিত একটি রাজনৈতিক মহলের অনেক প্রভাবশালী নেতাদের গলদঘর্ম পরিলক্ষিত হয়েছে। ওই মহলটি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাকে পেছন থেকে টেনে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন আড়ালে। ইতিপূর্বে পাপ্পা গাজীতে তাদের গাত্রদাহ দেখা গিয়েছিল প্রকাশ্যেই।

উদাহরণ স্বরুপ পাপ্পা গাজীর অনুগত নেতারা বলছেন, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্যাটাগরি-২ নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সমান ভোট পেয়েছিলেন পাপ্পা গাজী। তার অর্জনে গর্বিত নারায়ণগঞ্জবাসী। পাপ্পাকে অভিনন্দন জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সমালোচিত ওই মহলের ইশারায় রাতের আঁধারে এসকল প্ল্যাকার্ড চাষাঢ়া এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। মূলত, নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করে চলতে চাওয়া ওই মহল পাপ্পা গাজীতে ভীতু বলেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আড়ালে তার প্ল্যাকার্ড সরিয়েছেন; এমনটা মনে করেন সচেতন মহল।

অনেকেই বলছেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ভূমিকা রাখার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে পাপ্পা গাজী। এতে ভীতু হয়ে ওই মহলটি তাকে দাবিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করছে; প্ল্যাকার্ড সরিয়ে ফেলাটাই এর জ্বলন্ত উদাহরণও বটে।

তবে, পাপ্পা গাজী তার লক্ষ্যে অবিচল। তিনি তার পিতা মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বানি বুকে ধারণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে নারায়ণগঞ্জে আরো সু-সংগঠিত করে তোলার লক্ষ্যেই পথ অতিক্রম করছেন। দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আড়ালে বা প্রকাশ্যে। তার মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি দেখেই তা বিকশিত করার লক্ষ্যে তার পাশে আছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। আমরা মনে করি তিনি শুধু রূপগঞ্জ নয়, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার অবদান রাখার যথেষ্ট সুযোগ আছে। ইতিমধ্যেই তিনি নানা ভাবে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি তিনটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কাজের রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলো। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেখান থেকে নৌকার পক্ষে রেজাল্ট বের করে এনেছিল, সেখানে বিপুল ভোটে আমরা পাশ করেছি। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি অবদান রাখছেন। কিছুদিন আগে একটি শিক্ষার্থী টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারছিল না। তাকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি, পাপ্পা গাজী ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে লেখাপড়ার জন্য এবং তার চাকুরির নিশ্চয়তা দিয়েছে। তার দায়িত্ব নিয়েছে। এমন মানবিক কাজ তিনি করে থাকেন। তিনি একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, এমপি ও মন্ত্রীর ছেলে এবং আওয়ামী পরিবারের ছেলে। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। তার সামাজিক অবস্থান আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনের যেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন, এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য যেমন নেতৃত্ব দরকার, পাপ্পা সাহেবের মধ্যে সেই নেতৃত্বগুনাবলি রয়েছে। তিনি বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশে এসে দেশের সেবা করছে। তিনি রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেডিডেন্ট। আমরা মনে করি, তার মত এমন উদীয়মান তরুন ও মানবিক গুন সম্পন্ন ব্যক্তি যদি আগামী দিনে জেলার নেতৃত্বে আসে, তাহলে আওয়ামী লীগ সমৃদ্ধ হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার যেই স্বপ্ন যেই মিশন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে তারা ভূমিকা রাখবে। নেত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। আমরা সিনিয়র হিসেবে পাপ্পা সাহেবের মত উদীয়মান নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। আমরা যেখান থেকে শেষ করবো, সেখান থেকে পাপ্পা সাহেবরা শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রীর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আগামীতে যেই নেতৃত্বে আসছে, সেই নেতৃত্বকে আলোকিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জের মানুষের দুঃখ দুর্দশায় তিনি পাশে থাকবেন। পাপ্পা সাহেব বিদেশ থেকে শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে একজন সফল ব্যবসায়ী এবং সফল ক্রীড়া সংগঠক হয়েছেন। আমরা আশা করি, উনি একজন সফল রাজনীতিবীদ হিসেবেও নারায়ণগঞ্জের মানুষের নেতৃত্ব দেবেন। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘পাপ্পা গাজী এই নারায়ণগঞ্জেরই সন্তান। তার পিতা আমাদের নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী। পাপ্পা গাজী তার পিতার মতই একজন পরিচ্ছন্ন ও মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে নানা ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও পাপ্পা গাজী তার লোকবল নিয়ে নিজ অর্থ ব্যায় করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রেখেছেন। পাপ্পা গাজী নারায়ণগঞ্জ শহরে আসবেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সন্তান। তার মত উদীয়মান ও সু-শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষদের আওয়ামী লীগে প্রয়োজন। আমরা আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসীদের দেখতে চাই না। পিস্তল হাকিয়ে যারা গুলি করতে চায়, তারা আবার সভাপতিও হয়! তাদের আমরা আওয়ামী লীগে দেখতে চাই না। আমরা চাই পাপ্পা গাজীর মত শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র, পরিচ্ছন্ন ও মানবিক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসুক।

আওয়ামী লীগের হাল ধরুক। কিন্তু একটি মহল চায়, পাপ্পা গাজীর মত সুশিক্ষিত ও মার্জিত এবং অবস্থান সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত না হয়। কারণ, পাপ্পা গাজী প্রতিষ্ঠিত হলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীরা জায়গা পাবে না। আমাদের মিশন, শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র নায়ক বানানো। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাপ্পা গাজীদের মত স্মার্ট ও মেধাবী তরুণরা এগিয়ে আসুক- এটাই আমরা চাই। এর বাইরে আমাদের কোন মিশন নেই।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, পাপ্পা গাজী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। আমরা শেখ রাসেল পার্কে একটি টুর্নামেন্টে তাকে উদ্বোধক হিসেবে এনেছিলাম, যেহেতু তিনি ক্রিকেট বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। আর পাপ্পা গাজী একজন মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন মানুষ। কিছুদিন আগে তিনি এক শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি তাকে পরবর্তীতে চাকুরির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি করোনার সময়ে জেলা প্রশাসনে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। তার মত এমন মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন মানুষ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আসলে দলের উপকার হবে। আর তিনি তার যোগ্যতা দিয়েই আসবেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সন্তান, নারায়ণগঞ্জে সব সময়ই আসেন। এখানে কোন মিশন নেই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ