সোনারগাঁয়ে কনকনে শীতে ঘেরাও খর কুন্ডলী
মাজহারুল ইসলামঃ মেঘনা নদী সংলগ্ন বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁয়ের মানুষও বিগত তিন দিন ধরে প্রচন্ড শীতে কাপছে।ঘনকুয়াশা না থাকলেও শিশির ভেজা পথ ঘাট,তাপমাত্রা নামছে নিম্ন থেকে নিম্নে।
কনকনে হাড় কাঁপানো শীত জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।শীত উপেক্ষা করেও মানুষ ছুটে চলছে নিজ নিজ কর্মস্থলে।সন্ধার আগেই পথঘাট হয়ে যাচ্ছে ফাঁকা,হাটবাজারেও জনসমাগম কমে গেছে।
সব মিলিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।যার যার কর্মস্থলেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়,তিস্তা অববাহিকার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল ৩ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।আগের দিন ওখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের হিমালয় পর্বত থেকে ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশি আক্রমণ।শৈত্যপ্রবাহ দিন দিন বেড়েই চলছে,আর থরথরে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ।
এই প্রচণ্ড শীতের সামগ্রিক দাপটে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় উত্তরি হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের প্রকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।শীতের তীব্রতা সন্ধ্যায় শুরু হয়ে যায় রাত যতই গভীর হয় শীতের তীব্রতা ততই বাড়তে থাকে। গত তিন দিন ধরে শীতের অতিমাত্রার আক্রমণে একটু উষ্ণতার জন্য সরেজমিনে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,পেশাজীবী ও ফুটপাতের মানুষ আগুনের কুণ্ডলি জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে,কনকনে শীত থেকে রেহাই পেতে আগুন পোহাচ্ছে।
ডাক্তারি সূত্রে জানা যায়,এভাবে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে বয়স্ক ও শিশুরা নিউমোনিয়া,হাঁপানী,ক্লোড ডাইরিয়া, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় শাহাবুদ্দিন মার্কেটে অদ্রিতা হার্ড ওয়্যার রঙ ব্যবসায়ী হাসান মিয়া বলেন,আমরা যারা মধ্যবিত্ত মানুষ কোন না কোন ভাবে চলে যাচ্ছে আমাদের সময় কিন্তু যাদের কেউ নেই কিছু নেই রাস্তায় পরে থাকা মানুষগুলো কিভাবে শীত কাটিয়ে উঠবে প্রশ্ন জাগছে মনে।তিনি আরো বলেন,আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই কনকনে শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়ে শীত বস্ত্র কিনার জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত।