আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুগন্ধায় ভিড়

রেদওয়ান আরিফ

শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও এসব স্থানে বেশির ভাগ ক্রেতারা একে অপরের সাথে ঢলাঢলি করে পণ্য ক্রয় করছেন। একই ভাবে সামাজিক দূরত্ব মানছেনা বিক্রেতাও। এমনি চিত্র দেখা গেছে শহরের চাষাঢ়ার এলাকার বিভিন্ন দোকান গুলোতে। চাষাঢ়ায় অবস্থিত সুগন্ধা বেকারীর সামনে দিনের অধিকাংশ সময়ই ভিড় থাকে ক্রেতাদের। ইফতারের আগে এ ভিড় আরও বেড়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, বড় বেকারী বলে আর খাতির থাকায় প্রশাসন সুগন্ধায় নজর দেয় কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের চাষাঢ়ার সুগন্ধা বেকারীর সামনে অধিক লোকজন এবং ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এতসব প্রচার-প্রচারণার পড়েও মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতারা দোকানের সামনে ভিড় জমিয়ে ঘা-ঘেঁষে গাদাগাদি করে পণ্য কিনছে। একে অপরের সাথে করছে ঢলাঢলি।যাদের অধিকাংশের দেখা গেছে, হাতে নেই গ্লাভস মুখে নেই মাস্ক।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ,মুখোমুখি দাঁড়ালে একজন থেকে অপরজনের দূরত্ব হতে হবে ছয় ফুট, এবং আর সারি বেধেঁ দাঁড়ালে তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করলে করোনাভাইরাসে আরো বেশি সংখ্যক লোক সংক্রমিত হতে পারে। নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকলে হাঁচি-কাশির জীবাণু এড়ানো যায়।
নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহলের মতে, এমন ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কঠোর ভাবে পালন করা উচিত। মার্কেট গুলো খুলে দেয়া হলে কেনাকাটার জন্য মানুষ দলবেধেঁ মার্কেট গুলোতে ভিড় করবে। এতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহল।
স্থানীয়রা জানান, সুগন্ধা বেকারীতে দিনের অধিকাংশ সময়েই ভিড় থাকে যা ইফতারের আগে আরও বাড়ে। সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সারা দিন টহল পুলিশ থাকে, অদূরেই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে করোনা সচেতনতার জন্য তাহলে সুগন্ধার এ ভিড় কি তাদের নজরে পড়ে না। অভিযোগ রয়েছে, বড় বেকারী বলে প্রশাসনের কারও না কারও সাথে খাতির রয়েছে আর এ কারনেই তাদের দিকে নজর কম।