সুশীল পাঠক:
এলপিজি, সিলিন্ডার গ্যাস আমাদের অনেকের বাড়িতেই ব্যবহার করা হয় বা কাজে লাগে। প্রতিদিনের জীবনে অনেকের জন্যই এটি দরকারি। কিন্তু অসাবধানতার কারণে অনেক সময় এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তরলীকৃত পেট্টোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ থাকে ১০ বছর। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে উৎপাদনের তারিখ লেখা থাকে। এরপর ১০ বছর সেটি নিরাপদ। এরপর এসব সিলিন্ডার পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে।
পরীক্ষায় যেসব সিলিন্ডার নিরাপদ বলে গণ্য হয়, সেগুলো আবার ১০ বছরের জন্য বাজারে ছাড়া যায়। ফলে একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ আছে কি না, তা দেখা যাবে সিলিন্ডারের গায়েই। রান্নার জন্য ঘরে আনার আগে মেয়াদ দেখে নেওয়া ভালো। এলপিজি সিলিন্ডারের গ্যাস লিক হতে পারে বিভিন্ন কারণে।
হোস পাইপ, রেগুরেটর, গ্যাস ভাল্ব ইত্যাদি থেকে হতে পারে লিক। গ্যাস যেকারণে লিক হলেই বিপত্তি। এ গ্যাস নিশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
বিধিমালার নিয়ম অনুযায়ী, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বিধিমালা-২০০৪ (২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সিলিন্ডার নির্ধারিত মেয়াদের পরপর পরীক্ষা করার বিধান রয়েছে। তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) সিলিন্ডার পাঁচ বছর পরপর পরীক্ষা করার নিয়ম।
বিধিমালার আওতায় গ্যাস সিলিন্ডারের আমদানি ও উৎপাদনের মান নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনকারীদের লাইসেন্সও দেয় বিস্ফোরক অধিদপ্তর। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে সংস্থাটি। বাজারে ছাড়া প্রতিটি সিলিন্ডার পরীক্ষার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের মনোনীত সংস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে মাসে চার লাখ সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে, যার ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়। ২০ শতাংশ আমদানি করা হয়।