সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে।টিনে দিয়ে করা বাউন্ডারী কুপিয়ে ভাংচুর ও তচনছ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী করিব হোসেন (৪৮) নিজ চাচা শুক্কুর আলীর কাছ থেকে ২০১৩ সালে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সোয়া ৩ শতাংশ জমির পাওয়ার নেন। এই জমিতে কবির হোসেন কয়েক লক্ষ টাকার বালি পেলে ভরাট করে প্রায় ৬ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। গত ৩ মাসে ধরে শুক্কুর আলীর ছেলেরা প্রবাসী কবির হোসেনের কাছে উক্ত জমি ফেরত চায়। কবির হোসেন জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত শনিবার দুপুর ১ টার সময় শুক্কুর আলী ও তার ছেলে সোহেল, কামাল হোসেন, হৃদয় সহ অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি হামলা চালিয়ে কবির হোসেন ও তার দুই ছেলে ওমর ফারুক, মোহাম্মাদ এবং কবিরের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এত করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের লোকজনই গুরুতর আহত হয়। সব চেয়ে গুরুতর আহতের মধ্যে আদমজী সরকারী এম ডব্লিউ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক তার পিতা কবির হোসেন ও তার ভাই মোহাম্মাদের মাথায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কবিরের মাথায় ১৬ টি সেলাই তার কলেজ পড়–য়া ছেলে ওমর ফারুককে ৬ টি সেলাই করেন চিকিৎসক এবং কবিরের মা খালেদা বেগম ও ছোট ছেলে মোহাম্মাদ গুরুতর জখম হয়। চিকিৎসা শেষে কবির হোসেন বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যার সময় শুক্কুর আলী, কামাল হোসেন, সোহেল, হৃদয়, হাসনে আরা সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এসআই মোশারফকে।
ভুক্তভোগি কবির হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে আমার চাচা শুক্কুর আলীর কাছ থেকে সোয়া ৩ শতাংশ জমির পাওয়ার নেওয়া হয়। ৬ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করে শুক্কুর আলী ও তার ছেলেরা উক্ত পাওয়ারকৃত জমি ফেরত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। জমি দিতে রাজী না হওয়ায় শনিবারে শুক্কুর আলীর নেতৃত্বে তার ছেলেরা এবং আরো অজ্ঞাত কয়েকজন হত্যার উদ্দেশ্যে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের গুরুতর আহত করে। হামলাকারীদের হাত থেকে আমার ৭০ বছর বয়সী মাও রেহায় পায়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উক্ত ব্যক্তিদের আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবী করছি।
এসআই মোশারফ দুই পক্ষের সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কবির হোসেনের অভিযোগ পেয়েছি। প্রথম পক্ষ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাদী কবির হোসেনের অভিযোগের বিয়ষটি মামলা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই মোশারফ বলেন আমি কিছু বলতে পারবোনা ওসি স্যারকে বলেন বলে এড়িয়ে যান।