আজ শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন হাছিনা গাজী


টি.আই.আরিফ:
তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। রাজপথ ছেড়ে যাননি। রাজনীতিতেও তিনি পটু। তিনি একজন সফল ‘মা’। তার অবদানে উন্নত জীবন পাচ্ছে সমাজের হাজার হাজার সুবিধা বঞ্চিত মানুষ। তিনি আর কেউ নন তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী । গতকাল ছিলো এই মহিয়সী নারীর জন্মদিন। জন্মদিনে শুভাকাঙ্খী, কর্মী ও সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি। তারই হাত ধরে রূপগঞ্জে নতুন নতুন নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। হাছিনা গাজীর দক্ষ নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে তারাব পৌরসভা এবং সু সংগঠিত হচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগ। ১৯৫৫ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দুই পুত্র সন্তানের জননী হাছিনা গাজী। সন্তানদের তিনি সু প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার বড়ছেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। তার ছোটছেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক গাজী গোলাম আশরিয়া বাপ্পী । তার স্বামী নারায়ণগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। ২০১৬ সালে তারাব পৌরসভার প্রথম মহিলা মেয়র নির্বাচিত হন হাছিনা গাজী। ২০২১ সালে তিনি টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ দমনে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে তারাব পৌরসভা ঋণমুক্ত হয়েছে। শিক্ষা ,চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। দূর করেছেন জলাবদ্ধতা। তাছাড়া তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ তাকে পৌরমাতা উপাধি দিয়েছেন।

যেকোন সংকটে হাছিনা গাজী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নারীদের সমর্থন আদায়ে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া কোন নেতা অভিমান করে দূরে থাকলে তাকে মায়ের আদরে কাছে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। ওয়ান ইলেভেনের সময় মিথ্যা অভিযোগে গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রশাসন আটক করলে হাছিনা গাজী একাই ফাইট করে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। মন্ত্রী জানান, সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়টা তিনি দেখেছেন। এই মহিয়সী নারীর সাপোর্টে ধন্য গোলাম দস্তগীর গাজী। নেতাকর্মীরাও তার গুনের প্রশংসা করছে। তিনি পৌরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরবান হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। সেখান থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। গন্ধর্বপুরে বাস্তবায়ন হচ্ছে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাবে। এই মহিয়সী নারী হাছিনা গাজীর জন্মদিনে নেতাকর্মীরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।