নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ এলাকার নিজ বাড়ির ভিতর খেলার সময় সাদমান সাকিকে অপহরণ করা হয়। ওই ঘটনায় সাদমানের বাবা অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যে মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। প্রায় ১৫ মাস হতে চললো তবে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি অপহৃত শিশু সাদমান সাকিকে।
এদিকে বাড়ি থেকে অপহৃত শিশু সাদমান সাকিকে ফিরে পাবার আশায় তার বাবা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ওমর খালিদ এপন বিভিন্ন সময় রাস্তায় দাড়িয়ে মানববন্ধন করে থাকেন। ১৫ মাস যাবৎ শহরের বিভিন্ন জায়গায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের দাবীসহ ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য মানববন্ধন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও কোন লাভ হয়নি তথা সাদমান সাকিকে এখনও ফিরে পায়নি তারা। শিশু সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় পুরোপুরি ভেঙে পরেছে তার পরিবার।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় আসায় সম্প্রতি করা এক মানববন্ধনে সাকির বাবা এপন দাবী করেছেন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলসহ ছয়জন তার ছেলেকে অপহরণ করেছে। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর সজল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের লোক বলে তাকে ধরা হচ্ছেনা। একি সাথে ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের কাছে সাকিকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে মানববন্ধনের পরদিন অর্থ্যাৎ গতকাল রবিবার সাদমান সাকির অপহরণের বিষয়ে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কাউন্সিলর সজলকে জড়িয়ে মানববন্ধন করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে নেতৃবৃন্দরা।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৭ মার্চ রবিবার স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সাদমান সাকি নিখোঁজ হওয়ার যে সংবাদ প্রকাশিত হয় সেখানে সাকির পিতা সৈয়দ ওমর খালেদ এপন মানববন্ধনে যে বক্তব্যে দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। নাজমুল আলম বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে নিখোঁজ সাকির পিতা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ছেলেকে অপহরণ করার পর পিতা সন্তানের উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন করছেন। এবং কাউন্সিলর সজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে কাউন্সিলর সজল বলছেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। সাদমান সাকির অপহরণের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ও প্রতিবাদে শহরে উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। শিশু সাদমানকে উদ্ধার ও তাকে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে এ মুহূর্তে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কারণ জটিল অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। তিনি এ বিষয়টি তার আয়ত্তে নিয়ে তদন্ত করলে অবশ্যই সত্য ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। এমনটাই মনে করছেন জেলার সচেতন মহলের লোকজন।