আজ সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিক হত্যা মামলায় শাহজাদপুরের মেয়র মিরুর জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

সাংবাদিক হত্যা মামলায়

সাংবাদিক হত্যা মামলায়

সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত মেয়র হালিমুল হক মিরুকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

এর আগে রোবাবর জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

এদিকে উচ্চ আদালত থেকে মিরুর জামিন হয়েছে- সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নুরুন্নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে সমকালকে বলেন, আমার দুই ছেলেমেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। তারা একা একা স্কুলে যায়। মেয়র জেলখানা থেকে বের হয়ে যে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।

২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে মেয়র মিরুর দুই ভাইয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকায় আনার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী বাদী হয়ে মেয়র মিরু ও তার সহোদর মিন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরসহ জ্ঞাত ১৮ এবং অজ্ঞাত আরও প্রায় ২২ জনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর গত বছরের ২ মে শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিটে বলা হয়, মেয়র মিরুর গুলিতেই শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে মেয়র মিরুর লাইসেন্স করা শটগান ছাড়াও তার ভাই হাবিবুল হক মিন্টুর অবৈধ পাইপগান ব্যবহার করা হয়। মিরু ও মিন্টু দু’জনই ঘটনার দিন শিমুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।

গত পৌনে দুই বছরেও শিমুল হত্যার বিচার শুরু হয়নি। আসামি পক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে মামলার বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। চাঞ্চল্যকর হিসেবে মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তরের জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি।