নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সত্যকে মিথ্যা বা মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আর এ কাজটি না করা এবং সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতাই সারাবাংলার সবচেয়ে বড় অর্জন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সারাবাংলা-এর অর্ধযুগে পদার্পণ ও ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজস্ব কার্যালয়ে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে সারাবাংলা ডটনেট। সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক,এমপি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম আশরিয়া বাপ্পি, সারাবাংলা ডটনেট’র প্রকাশক বদরুল আলম খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এ এস এম রফিকউল্লাহ রোমেল, প্রধান বার্তা সম্পাদক রহমান মুস্তাফিজ, সারাবাংলার মহাব্যবস্থাপক (জি এম) মিয়া ফয়সাল হাসান, দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মুন্না খাঁন, দৈনিক সারাবাংলার বার্তা সম্পাদক সুমন ইসলামসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সারাবাংলার সর্বস্তরের কর্মীরা।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘সারাবাংলার আজ যে সফলতা অর্জিত হয়েছে, তা সারাবাংলার কর্মীদের অবদানের কারণেই হয়েছে। কর্মীরা কাজ করেছেন বলেই সারাবাংলা আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। গত পাঁচ বছরে সারাবাংলা যেভাবে পাঠকের আস্থা, বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে সেজন্য আমি গর্ববোধ করছি। আমি আশা করব আগামীতেও সারাবাংলা পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সারাবাংলার সবচেয়ে বড় পাওয়া পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন। সারাবাংলা সব সময় সত্যি কথা বলে, সঠিক তথ্য তুলে ধরে। আমি মনে করি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরাই গণমাধ্যমের কাজ। আর সারাবাংলা সেই কাজটিই গত পাঁচ বছর ধরে অব্যাহতভাবে করে আসছে। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি সঠিক তথ্য তুলে ধরে জনমত ও জনসমর্থন আদায় করা যায়। সারাবাংলা কাউকে হেয় বা অসম্মান করে নেতিবাচক তথ্য ছড়ায় না। সারাবাংলা কখনো সাময়িক বাহাবা নেওয়ার জন্য ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্যও প্রকাশ করে না। যাচাই-বাছাই করে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশন করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি। আমি মনে করি এটিই সারাবাংলার বড় শক্তি।’
সংবাদকর্মীদের সঠিক খবর প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে মিথ্যাকে সত্য বলা, সত্যকে মিথ্যা বলার কোন প্রয়োজন নেই। সারাবাংলা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যাই বলে আসছে। ভবিষ্যতে সারাবাংলা এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলেই প্রত্যাশা।’
সারাবাংলার কর্মীদের উদ্দেশে প্রকাশক বদরুল আলম খান বলেন, ‘কালোকে কালো বলেন, সাদাকে সাদা। সাদা কালো মিক্সড করবেন না। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম আশরিয়া বাপ্পি বলেন, ‘আমরা প্রথমে যখন সারাবাংলা শুরু করি, তখন নিউজ পোর্টালের চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি সম্পর্কে সেভাবে ধারণা ছিল না। দেশ-বিদেশের পাঠকের কাছে সেভাবে আমরা পৌঁছুতে পারব কিনা সেই ভাবনা তখন কাজ করতো। আজ বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সারাবাংলার কনটেন্ট পৌঁছে যাচ্ছে। এখন দেশের মানুষ তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনে সারাবাংলার তথ্য খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে সারাবাংলা যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখনকার সময়ের চেয়ে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ কাগজের পত্রিকার চেয়ে অনলাইনে খবর পড়তে বেশি পছন্দ করে। যখন ঘটনা তখনই তা জানতে চায়, সেখানে সারাবাংলা প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রকমের চাপ ছাড়া সারাবাংলা সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সরবরাহ করতে পছন্দ করে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করে না সারাবাংলা। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সারাবাংলাকে কেউ কোনো সিদ্ধান্ত দেয় না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতেও সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সারাবাংলা তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখবে।’