সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা না করায় তৎকালীন প্রশাসন বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকে ২৭ দিন টর্চার করেছিলো। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেই সময়ের ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, এমপি। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় হঠাৎ করে আমার বাসায় র্যাব এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেল। আমাকে তারা বলল আপনি শেখ হাসিনাকে টাকা দিয়ে নমিনেশন নিয়েছেন , এই জন্য আপনাকে আটক করা হইল। আমাকে নিয়ে রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে তারা টর্চার করেছে, ইলেকট্রিক শট দিয়েছে । সারারাত ঘুমাতে দেয়নি। তারা আমাকে জোর করে স্বীকার করাতে চেয়েছিলো আমি শেখ হাসিনাকে টাকা দিয়ে নমিনেশন নিয়েছি, আমাকে স্বীকার করাতে পারলেই তারা সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা দেবে। আমি তাদেরকে বলেছিলাম আমি মরে গেলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা দিতে পারবো না, আমাকে মাইরে ফালান তাও আমি শেখ হাসিনার নামে মামলা দিতে পারবো না। তখন নেত্রী লন্ডনে ছিলেন। আমি মামলা দিলে সেই মামলা লন্ডনে দেখিয়ে তারা শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী তখন খবর পেয়েছিলেন গাজীকে আটক রেখে তার বিরুদ্ধে দেশে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি বলেছি আমি মরে গেলেও শেখ হাসিনার নামে মামলা দেবো না। ক্যান্টরমেন্টের জেল খানায় আমাকে রাখা হয়েছে। আমাকে ২৭ দিন টর্চার করেছে। তারপর শেখ হাসিনার নির্দেশে রূপগঞ্জে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। গাজীর আন্দোলনে তখন মুগ্ধ হয় শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮,২০১৪,২০১৮ সালে টানা তিনবার গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার প্রচেষ্টায় বদলে গেছে রূপগঞ্জ। গ্রামকে শহর করেছেন তিনি। এখনও তিনি রাজপথে বিএনপির বিরুদ্ধে লড়ছেন। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এবারও গাজীর উপর আস্থা রাখছে। আজ সকাল ১১ টায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা হবে। এই সভায় রূপগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল বা নেত্রীর জন্য তার যে ত্যাগ রয়েছে দল এবারও তা মূল্যায়ন করবে এমনটাই মনে করছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।