নবকুমার: নারায়ণগঞ্জ -১ ( রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ( গাজী) অনেক ঋণী। তিনি আমার উপর অনেক আস্থা রেখে প্রথমে আমাকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানজনক স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২০) দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এসব ঋণ আমি কাজের মাধ্যমে পরিশোধ করার চেষ্টায় আছি। আমার ঋণগুলো পরিশোধ হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নবাস্তবায়ন হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন মানে সুখে -দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছে। পিতার হাত থেকে পদক, কন্যার হাত থেকে পদক এদুটিই আমি পেয়েছি। এ রকম ভাগ্যকার আছে? আর আমার পাওয়ার কিছু নাই।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে হাজী নুর উদ্দিন ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারাব পৌর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক মন্ত্রীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, নভেম্বর মাসের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করা হবে। সরকার বন্ধ পাটকলের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো। তার মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হাছিনা গাজীর চেষ্টায় রূপগঞ্জে মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন। যার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন।
তিনি বলেন , হাছিনা গাজী নিজে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিভিন্ন কাজ আদায় করে নিয়ে আসেন। তারাব পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরবান হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। ডাক্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে । পৌরবাসী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তিনি রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মেয়র আমার চেয়ে ভালো কাজ করেছেন। যে কাজ উপজেলা পরিষদ করতে পারে নাই । সে কাজ তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী করেছেন। আমার (গাজীর) আর তারাব পৌরসভা মেয়রের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। কে বেশি উন্নয়ন করে। আমরা উভয়ি রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
রূপগঞ্জবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য স্বাধীনতা পদক পেয়েছি। আপনারা চারিদিকে আমার সুনাম ছড়িয়েছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে তা জেনে প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছেন। আপনাদের প্রশংসায় পুরস্কারটি পেয়েছি। স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে বসে থাকব না। উপজেলা চেয়ারম্যান , প্রশাসন, মেয়র সবাইকে সাথে নিয়ে রূপগঞ্জকে আর উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মন্ত্রী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার উন্নয়নের জন্য চেষ্টায় আছি।
তারাব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান,ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন,সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা,সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খাঁন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান মুন্সি, মানজারী আলম টুটুল, আবুল হোসেন, হাসান আশকারী, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, ফিরোজ ভুঁইয়া, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান তারেক,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন হাবিবুর রহমান হারেজ, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদের তমাল, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, তারাব পৌর যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম মনির, রাজীব , রাসেল শিকদার, নজরুল ইসলাম মফিজ, হামিদুল্লাহ, আশরাফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আমির হোসেন ভূইয়া, আতিকুর রহমান, লায়লা পারভীন, আসমা বেগম, জোসনা বেগম, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা প্রমুখ।
পরে অতিথিবৃন্দ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।