আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শীতের সবজির দাম কমেছে

রেদওয়ান আরিফ:

শীতের সবজীতে ভরপুর এখন নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার। দোকানে দোকানে থরে থরে সাজানো হয়েছে নানা সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। কিছু সবজীর দাম কমেছে ১ দিনের ব্যবধানেই। দাম কমেছে এমন শীতকালীন সবজীর মধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, জলপাই, দুন্দুল, ঢেরশ, ঝিঙ্গা, কহি, টমেটো, লাউ, মুলা, গাজর, করলা, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক। বাজারে শীতকালীন সবজীর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে বলছে বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত দামে আলুর মূল্য ৩০ টাকা ঁেবধে দিলেও মানছেন না বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দ্বিগু বাবুর বাজার ঘুরে যায়, প্রতি জোরা ফুলকপিতে কমেছে ৩০ টাকা। আগে যেখানে ১ টি ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হতো একই দামে এখন দুইটি ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ছোট-বড় দু’ধরনেরই বাঁধাকপি। তবে দাম না কমলেও একই দামে বড় বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে। সিম পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেক দামে, গত সাপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি থাকলেও তা এখন ৪০ টাকা।

ক্রেতা আলম জানান, মাত্র একদিনের ব্যবধানে জলপাইয়ের দাম কমেছে ৩০ টাকা, কালকেই নিয়েছি ৬০ টাকা দিয়ে। এছাড়াও দাম কমেছে পোটলের গত সাপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ত্রিশ টাকা। করলা কেজিতে কমেছে ত্রিশ টাকা। ধনেপাতা ১’শ বিশ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দাম কমেছে বড় সিমের , প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। ঢেরশে কমেছে দশ টাকা। টমেটো ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।

সাপ্তাহের ব্যবধানেই ঝিঙ্গার দাম কমেছে ত্রিশ টাকা, ৭০ টাকা বিক্রি হলেও এখন চল্লিশ টাকা। দাম কমেনি কহি, ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়াও লাউ ছোট ত্রিশ এবং বড় ৭০ টাকায় মিলছে। মুলা যা গত সাপ্তাহে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এখন ত্রিশ টাকা। বেগুন চল্লিশ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। আদা এবং রসুনে বিশ টাকা কমেছে। পুঁই শাক ত্রিশ টাকা, লাল শাক ৪০, এবং মুলা শাক ৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।

বাজারের এক ক্রেতা জানান, শীতকালীন সবজীতে বাজার পরিপূর্ণ তাই দাম টা গত কয়েকদিনের তুলনায় কম। সব কিছুর দাম কমলেও আলুর দাম কমেনি।

বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন শীতের সবজীর সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজীর দাম কমেছে। সরবরাহ যত বেশি থাকবে ততদিন পণ্যের দাম কমতির দিকে থাকবে।