আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাহিদা হত্যার প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

সোনারগাঁয়ে শাহিদা (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান (৪২)সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ । গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাপেরচর এলাকা হতে হাবিবুরকে গ্রেফতার করা হয়। সে সোনারগাঁয়ের আলীরচর (ইউপি-বারদী) এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে।

মামলার প্রধান আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৪০) গত- ২৭ আগস্ট সিনিয়র জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে অপরাপর এজাহারনামীয় আসামীদের সরাসরি জড়িত করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জানিয়েছে , গত ৪ আগস্ট বিকালে সোনারগাঁয়ের বারোদী এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা টেঁটা , চাকু, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাদেকুর এবং তার পরিবারের লোকজরে উপর হামলা করে। হামলায় বাদীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার এবং মনিরের দিকে টেডা নিক্ষেপ করলে তারা টেঁটা বিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব বাদী সাদেকুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দিকে টেঁটা নিক্ষেপ করলে টেঁটাটি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে বাদীর শ্যালিকা শাহিদা (৪০), এর বুকে বিদ্ধ হলে বাদীসহ তার আত্নীয়স্বজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপালে ভর্তি করার ২ (দুই) দিন পরে শাহিদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। এ ঘটনায় সাদেকুর রহমান সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হবার সাথে সাথেই পুলিশ সুপার, পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্দেশে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছায়াতদন্ত শুরু করে। সূত্রে বর্ণিত মামলাটি সোনারগাঁ থানা পুলিশ কিছুদিন তদন্তের পরপরই মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৭ আগস্ট পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা মামলাটির স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন মোঃ জিয়া (৩৫), জামিল হোসেন (৩০), মোঃ হোসেন (৩২), মোঃ মনির (২৮), মোঃ রাব্বি (২০), মোঃ ফারুক (৩২)। তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারকৃত আসামি হাবিবের দেওয়া তথ্য মতে হামলার পরিকল্পনাকারী তারই বোন আসামী মোসাঃ শাহনাজ (৪৫), কে ডেমরা থানার সুকুরসি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে পিবিআই অফিস হাজতে রাখিয়া মামলার ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আসামী জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রকাশ করে।

মামলার ঘটনাস্থল থেকে আসামীদের ব্যবহার করা মোট ৭(সাত) টি চারফলা বিশিষ্ট টেডা আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব এর ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে।