নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিনি রাজনীতিতে অনেক অভিজ্ঞ। সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলায় তিনি পটু। সত্য-মিথ্যা অনেক সময় এক হয়ে যায়। গেল ২৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, যে রুমে জাতীয় চার নেতাকে মারা হলো তার পাশের রুমে আমার (শামীমের) বাবা ছিলো। মনসুর আলী চাচা ওই রুমে ছিলেন। ওই খান থেকে তাকে বের করা হয়। মনসুর আলীকে অজু করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখন অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সেদিন অজু করতে দেয় নাই। জাতীয় চার নেতা সেদিন বলেছিলো আমাদের হত্যা করো, আমরা মরেও প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের লোক ছিলাম, আমরা শেখ মুজিবের লোক আছি, আমরা শেখ মুজিবের লোক থাকবো। আজকে আমরা যারা এখানে উপস্থিত হয়েছি ,আমরাও একটা জিনিস
পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ,আমরাও মরে প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ হাসিনার লোক ছিলাম ,শেখ হাসিনার লোক আছি। শেখ হাসিনার লোক থাকবো।
শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের পর তার প্রতিপক্ষের একাধিক নেতা জানান, উনি শেখ হাসিনার লোক হলে গেল ইউপি নির্বাচনে শামীম ওসমানের এলাকায় শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থী হারল কেমনে। গোগনগরে জসিম উদ্দিন কে হারিয়ে ফজর আলীকে কারা বিজয়ী করে। কলাগাছিয়ায় নৌকার ভোট লাঙ্গলে কারা দিয়েছে। ১২ নং ওয়ার্ডে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির ভাই শওকত হাশেম শকু কাদের জোড়ে কাউন্সিলর হয়? সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমানের সাথে শকুর সখ্যতা বাড়ছে। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী সেখানে ৩ নম্বর হয়েছে। তাই কথা শুধু তার মুখেই মানায়। বাস্তবে মিল পাওয়া যায় খুব কম।