নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে এসে আটক দুই রোহিঙ্গা যুবতীকে গাজীপুর সেইফ হোমে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে আদালত। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়। শুনানী শেষে আদালত আটক দুই রোহিঙ্গা নারীকে গাজীপুর সেইফ হোমে পাঠানের নিদের্শ দেয়। এর আগে রোহিঙ্গা দুই নারীকে পাসপোর্ট করতে নিয়ে আসা দালাল আনোয়ারের (২৫) বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং ৩২)। একই দিন ওই মামলারও শুনানী হয়। শুনানী শেষে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে শনিবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রোহিঙ্গা দুই নারীকে গাজীপুর সেইফ হোমে দিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পাসপোর্ট করতে এসে দুই রোহিঙ্গা যুবতী আটক হয়। আটককৃতরা হলো নুর কায়েস (২২) ও রাশিদা (২০)। এরমধ্যে নুর কায়েস কক্সবাজারের উখিয়া থানার বাগবুনিয়া ক্যাম্পের এ-১ কেন্দ্রের আমির হামজা মেয়ে এবং রাশিদা একই জেলা ও থানার বালুখালি ক্যাম্পের আই-২০ কেন্দ্রের আবুল কালামের মেয়ে।
মায়ানমারে নূর কায়েসের বাড়ি মংরুর আইক্ক্যাপের কুয়ান্সি ব্যাঙ্ক এলাকায় এবং রাশিদার বাড়ি মংরুর হাজ্জারুতে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক হয়। পরে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের এক দালাল আনোয়ারের (২৫) মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবতী নূর কায়েস ও রাশিদা দুপুরের পর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যায় পাসপোর্ট করার জন্য। কিন্তু কথা বার্তার এক পর্যায়ে তারা ধরা পড়ে যায়।
নূর কায়েস ও রাশিদা সাংবাদিকদের জানায়, গত এক মাসে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ১ লাখ টাকা করে দুইজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। গত ৪ দিন আগে ক্যাম্প থেকে তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়িতে নিয়ে এসে ইকবাল তার বাড়িতে রাখে। বৃহস্পতিবার(১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আনোয়ার নামে এক লোকের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য তাদের পাসপোর্ট অফিসে পাঠায়।