রূপগঞ্জে দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তিন মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
একই সাথে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই অন্ত:সত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া বাদ্যকরপাড়া এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূ বুধবার রূপগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে বুধবার রাতেই মামলার প্রধান আসামী মো: আলী খোকাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত এইচ এম জসীম উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, আসামী খোকাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মামলার অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৫ বছর পূর্বে আড়াইহাজার উপজেলা এলাকার হাফিজউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া বাদ্যকরপাড়া এলাকার শহর আলীর ছেলে মো. আলী খোকার মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে আলিফ মিয়া ও মুসফিক নামে দুই সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি ঐ গৃহবধূ আবারো ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হন।
বেশ কিছুদিন ধরে গৃহবধূর স্বামী তার স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূকে প্রায়ই নির্যাতন করা হয়। মঙ্গলবার রাতে যৌতুকলোভী স্বামী স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে পেটে লাথি মারে এবং পরিবারের লোকজন নিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূর গর্ভের তিন মাসের সন্তানের মৃত্যু হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়ে।