আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে ১০ বছরে ৩২ শ’কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে  । রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভারসহ অন্যান্য কাজ প্রায় শেষে দিকে। এসব ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজগুলো চলতি বছরের শেষে দিকে শেষ হওয়ার কথা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় দশ বছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বদলে গেছে রূপগঞ্জ উপজেলার চিত্র। বদলে গেছে রূপগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা । সরকারিকরণ হয়েছে মুড়াপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং মুড়াপাড়া কলেজ।

জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলার ৩২ শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের মধ্যে ১৮ শ’ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাকে এক অনন্য রূপ এনে দিয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের যানজট নিরসনে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান এমপি। পরে ‘ভুলতা ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। সরকারি অর্থায়নে ২৪০ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২০৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ এ সরকারের আমলে শেষ হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এই ফ্লাইওভারটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এবং গোলাকান্দাইল এলাকায় কোনো যানজট থাকবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলীউল হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারের পিলার, গার্ডার, গ্যাংরোড, ড্রেনেজ, পাইলিং, পার্কওয়ের কাজ প্রায় শেষ। ১ দশমিক ২৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই উড়াল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বাইপাস ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল অংশে ব্যয় হবে ১১২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কাজে ব্যয় হবে ৭ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ হোসেন বলেন, উড়াল সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অপর দিকে, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় সেতু নির্মাণের কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়ক ও রূপসী-মুড়াপাড়া-কাঞ্চন সড়ক প্রশস্ত করায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক গতি এসেছে ডেমরা-নগরপাড়া-কামশাইর গাজী বাইপাস সড়কে ওই অঞ্চলের ১৭ গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে।

এ দিকে রূপগঞ্জে বরাদ্দকৃত টিআর ও কাবিখা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উপজেলায় সোলার প্যানেল স্থাপন এবং স্থাপনা ও রাস্তাঘাটের সংস্কারসহ উন্নয়ন কাজে বরাদ্দকৃত সব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রূপগঞ্জের দু’টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রূপগঞ্জবাসীর কাক্সিক্ষত উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। এখানকার চিহ্নিত সমস্যাগুলো ধারাবাহিক সমাধান করা হচ্ছে। এ সরকারের আমলে ৩২ শ’ কোটি টাকার সড়ক ও সেতু নির্মাণে রূপগঞ্জের চিত্র এখন বদলে যাচ্ছে। আবারো এমপি হয়ে জনগণের পাশে থেকে এভাবেই উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে চাই।