আজ মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে এক নারীকে ডাবল বিয়ে,অতপর …

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ রূপগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে নার্গিস আক্তার লিমা (২৫) নামের এক গৃহবধূকে তার স্বামী নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ জুন বেলা ১২ টার দিকে জাঙ্গির ( ঈদগাহ) তার বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। গৃহবধূর দুলাভাই দ্বীন ইসলাম ভূইয়া রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে , গত ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার বাঁশখোলা এলাকার কাদের সরকারের মেয়ে নার্গিস আক্তার লিমার সাথে রূপগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গির এলাকার বাক্কি মোল্লার ছেলে আব্দুল বারী মোল্লা (জাক্কু) পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ৪ বছরের তাউসি আক্তার নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকে গৃহবধূকে তার শ্বশুর শাশুড়ি দেবর বিবাদী ২. বাক্কী মোল্লা ৩. মরিয়ম বেগম (স্বামী বাক্কী মোল্লা) ৪.বাবু ৫. মেহেদীর সহযোগিতায় ও কু প্ররোচনায় বিবাদী আব্দুল বারী মোল্লা (জাক্কু) কারণে অকারণে সংসারের ছোট খাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ এবং তার উপর মানসিক নির্যাতন করতো। নার্গিস অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ০২/০৭/১৯ সালে তার স্বামীকে ডির্ভোস প্রদান করে। পরবর্তীতে সকল বিবাদীগণ কন্যা সন্তানের দোহায় দিয়ে স্থানীয় লোক মাধ্যমে বিচার শালিক করে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে আব্দুল বারী মোল্লা (জাক্কু) নার্গিসকে দ্বিতীয়বার বিবাহ করে। কিছুদিন পর আবার নার্গিসের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। নার্গিসের বাবার বাড়ি হতে তার প্রাপ্য অংশ (জমি) বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে তার স্বামী। নার্গিস তা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে তার উপর নির্যাতন শুরু করে বিবাদীগণ। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ভরণ পৌষণ করছে না তার স্বামী। পরিবারের মান সম্মানের ভয়ে সে তার স্বামীর সাথে সংসার করে আসছিলো। সর্বশেষ ২৮ জুন নার্গিসকে বিবাদীগণ যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলে। নার্গিস যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে এলোপাথারিভাবে পেটায়। ২,৩,৪ নং বিবাদীগণ নার্গিসের বুকে পিটে কিলঘুষি লাথি মারে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। ৪ নং বিবাদী নার্গিসকে ধরে রাখলে ১ নং বিবাদী আব্দুল বারী মোল্লা (জাক্কু) ঘর থেকে বটি দা আনিয়া খুনের উদ্দেশ্যে নার্গিসের মাথার মাঝখানে কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঘরে আটক করে রাখে বিবাদীগন। নার্গিসের বোন পারভীন আক্তার লিজা মোবাইল ফোনে ঘটনার সংবাদ পাইয়া বিবাদীগণের বাড়িতে (জাঙ্গি) এসে তার বোনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। ২,৩,৪,৫ নং বিবাদীগণ পারভীন আক্তার লিজাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় মামলা করলে ভয় দেখায় এবং হত্যার হুমকি দেয় বিবাদীগণ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পারভীন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। কিন্তু নার্গিস কে রক্তাক্ত, জখম অবস্থায় বিবাদীগণ আটক করে । বিবাদীগণ নার্গিসের জান মালের বড় ধনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তার পরিবার।
রূপগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মকবুল বলেন, থানায় দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গৃহবধূকে মারপিটের ঘটনা সত্য। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছিলো। তদন্ত হচ্ছে। ছেলে পক্ষ চাচ্ছে স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টা মিমাংসা করার জন্য।